তিন ঘন্টা ধরে এক নারী চিৎকার করেছিলো,
তার স্বামী রক্তাক্ত হয়েছিলো,
আর আমরা?
আমরা পঞ্চাশ জন মানুষ,
কিন্তু গুটিয়ে গিয়েছিলাম শূন্যের মতো,
আমরা দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম,
আমরা মুখ বন্ধ করেছিলাম,
আমরা চোখ বন্ধ করেছিলাম,
আমরা নিজেরাই ধর্ষিত হয়েছিলাম—
আমাদের সাহস লাঞ্ছিত হয়েছিলো!

এই শহর চিৎকার শোনে না,
এই রাজপথ ন্যায়ের কথা বোঝে না,
এই রাষ্ট্র নড়েচড়ে বসে না,
কেননা শাসকের কানে তালা,
আইন শৃঙ্খলা বোবা,
আর আমরা—আমরা শুধু দর্শক!

তবে এখানেই কি শেষ?
বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে,
দুপুরে আট বছরের সেই শিশুকন্যা—
ধর্ষিত হলো বোনের শ্বশুরের হাতে!

সে বুঝতে পারেনি, কেন তার খেলনার বদলে
রক্তাক্ত হলো তার নরম শরীর!
সে জানতো না, কেন পৃথিবী এত হিংস্র!
তার দুচোখে তখন শুধু ভয়,
তার কচি কণ্ঠে তখন নীরব এক আর্তনাদ,
যে নীরবতা এই সমাজ শোনে না!

তার মা বিচার চাইতে গিয়েছিলো,
তাকে বলা হলো— "চুপ থাকো!"
তার বাবা প্রতিকার চাইতে গিয়েছিলো,
তাকে বলা হলো— "সমঝোতা করো!"
আর আমরা?
আমরা পঞ্চাশ জন মানুষ,
এখনও নির্বাক দাঁড়িয়ে আছি!

তবে শোনো—
এই নীরবতা এবার বিস্ফোরণ হবে,
এই ক্ষত এবার আগুন হয়ে জ্বলবে!
এই কান্না, এই মায়ের আর্তনাদ
এবার দাবানল হবে,
এই লজ্জা এবার বিদ্রোহ হবে!
তোমাদের সিংহাসন ধ্বংস করবে!

আমি সেই চিৎকার এনে দেবো রাজপথে,
আমি সেই রক্ত মেখে দেবো পতাকায়,
আমি ঘুমন্ত বিচারপতিদের দরজায় আগুন রেখে আসবো!
আমি রাজপ্রাসাদের ভিত কাঁপিয়ে দেবো,
আমি তোমাদের স্বর্ণমুকুট ছিনিয়ে আনবো,
আমি আইনকে বধিরতার শাস্তি দেবো!

কারণ—
যে রাষ্ট্র এক নারীর চিৎকার শুনতে পায় না,
যে সমাজ শিশুদের রক্ষা করতে পারে না,
সে রাষ্ট্র পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার যোগ্য!
এবার আগুন হবে,
এবার বিদ্রোহ হবে,
এবার ন্যায়বিচার হবেই!

#কাব্য #প্রতিবাদ #বিচার_চাই #অন্যায়ের_বিরুদ্ধে