আমি মরতে বসেছিলাম,
শান্ত এক সন্ধ্যায়,
হাত ধরে নেমেছিলাম মৃত্যুর পথে,
কেউ একজন বলল—"আল্লাহকে ডাকো",
আমি অবাক হলাম,
এত তুচ্ছ কাজে আল্লাহকে ডাকবো কেন?

আমার কষ্ট এত নগণ্য,
অশ্রু এত নীরব,
তবু কেন আল্লাহর নাম নিতে হবে?
পৃথিবীর বিশালতার মাঝে
আমার এই ক্ষুদ্র অস্তিত্ব,
তাতে কি আসে যায়?

কিন্তু গভীর রাতে,
যখন সারা পৃথিবী ঘুমিয়ে,
আমার হৃদয় একলা বসে,
নিঃশব্দ কান্নায় ভেসে যায়।
তখন বুঝতে পারি,
আমার অস্তিত্বের মর্ম,
এত তুচ্ছ নয়—আলো আড়ালে লুকানো এক জীবন।

আত্মার এক গভীর গহ্বরে,
প্রশ্নের পাহাড় জমেছে,
কেন এই জীবন? কেন এই মৃত্যু?
কেন এই যন্ত্রণা, এই ক্ষুদ্রতাবোধ?

তখনই শুনতে পাই,
মনের এক কোণে,
আল্লাহর কণ্ঠস্বর—নীরব তবু স্পষ্ট।
তুমি কি তুচ্ছ? তুমি কি অযোগ্য?
আমি তো সৃষ্টির মাঝে সর্বোত্তম সৃষ্টি করেছি তোমায়,
তুমি কেন নিজের মূল্য হারিয়ে ফেলো?

আমি বুঝলাম,
আমার আত্মা আল্লাহর আলোতে পূর্ণ,
আমার জীবন তারই দান,
এ জীবন ক্ষুদ্র নয়, বরং মহান,
এই যন্ত্রণাও অমূল্য, কারণ তা আল্লাহর পরীক্ষা।

মৃত্যুর পথে, আমি দাঁড়াই একবার,
মনে করি, আল্লাহকে বিরক্ত করতে নয়,
বরং তার কাছে ফিরে যেতে চেয়েছি,
এ জীবনের দায়বদ্ধতায়, আত্মার অবলম্বনে,
আমি তার কাছেই তো দাঁড়াই,
তুচ্ছ নয়, বরং মহামূল্য এই জীবন।

জীবনের কষ্ট, মৃত্যুর প্রহর,
সবই তার ইচ্ছার প্রতিফলন,
আমি নত হই, আত্মা জাগ্রত হয়,
আমি আর তুচ্ছ নই—আমি আল্লাহর সৃষ্টি।
মৃত্যু তখন আমাকে আর ভয় দেখায় না,
কারণ আমি এখন বুঝি—
এই জীবন ও মৃত্যুর মাঝেই লুকিয়ে আছে
আমার আত্মার পরিপূর্ণতা।

আত্মার উপলব্ধি - মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান।
#কাব্য