এই যে কবি প্রিয় তুমি,
হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি—
যাকে আমি দিনের পর দিন এই নির্জন রাস্তায় খুঁজে ফিরি,
তুমি জানো না কতোবার এসেছি এখানে,
কাঁধে বইয়ের ব্যাগ, হাতে কোঁকা কোলার বোতল কিংবা স্পিডের ক্যান।
আমি আসি—তোমার প্রিয় কাঁঠাল গাছের নিচে বসে থাকি,
কাঠের পাতায়, যেখানে আমরা একদিন হয়তো বসেছিলাম,
সেখানে বসেই আনমনে কিছু লিখি—কবিতার প্রতিটি পংক্তি যেন তোমার অপেক্ষায় রচিত।
এই নির্জনতা, এই নীরব প্রকৃতি,
আমার একাকীত্বে মিশে যায়,
আমি তাকিয়ে থাকি গাছের ডালে, বাতাসের নৃত্যে,
কখনও দেখি পাখিদের উড়ান, কখনও শুনি নদীর কলকল ধ্বনি,
কিন্তু এ সবই যেন ফাঁকা, তুমি না আসায় এই সবকিছুই নীরস।
আমার হাতের কলম থেমে যায় বারবার,
কারণ তুমি আসো না,
তুমি আসলে আমার কবিতা পূর্ণ হতো,
তুমি আসলে শব্দগুলো পেতো তাদের প্রকৃত অর্থ,
এই প্রতীক্ষা যেন একটা কবিতা—অন্তহীন, অথচ অসম্পূর্ণ।
একদিন এসো,
আমার লেখা পাতা ভরে উঠুক তোমার উপস্থিতির ছোঁয়ায়,
তুমি না এলে এই কবিতার প্রতিটি লাইন যেন মৃত,
তুমি এসো, তোমার হাসিতে আমার কবিতা প্রাণ ফিরে পাক,
তোমার নীরবতায় যেন এই নির্জন রাস্তা হয়ে উঠুক ব্যস্ত।
আমি প্রতিদিন আসি, তোমার প্রতীক্ষায়,
কাঁঠাল গাছের নিচে বসে থাকি,
হাতে কবিতার খাতা, মনে একরাশ অপেক্ষা।
তুমি না এলে, কবিতাগুলো যেন ফিকে হয়ে যায়,
শব্দগুলো অর্থহীন হয়ে পড়ে।
তুমি এসো, একদিন এসো—
আমার এই কবিতার পৃথিবী যেন তোমার আলোয় পূর্ণ হয়।
প্রতীক্ষা শুধুই প্রতীক্ষা নয়,
প্রতীক্ষা একটি কবিতা—
যার শুরু আছে, কিন্তু শেষ নেই,
তোমার আগমনের অপেক্ষায় প্রতিটি পংক্তি তবু বেঁচে থাকে।
তুমি এলে এই প্রতীক্ষার কবিতা হয়ে যাবে আমাদের গল্প।
একদিন এসো, কবিতা লিখো,
আমাদের এই নির্জন রাস্তায়,
তোমার ছোঁয়ায় যেন কবিতার প্রতিটি পংক্তি প্রাণ পায়।
অপেক্ষার কবিতা - মোহাম্মদ শেখ শাহিনুর রহমান।
#কাব্য