তোমাকে বিদায় দেয়ার সময়
যখন বললাম তোমার কপালে একটা চুমু এঁকে দেই
স্মৃতি হিসাবে থাক, তুমি নিতে চাইলে না,
জানো তখন আমি ঠোঁটের কান্না দেখেছি
চোখের কান্নার মত, ঠোঁটের অশ্রু নেই
তবে বুকের ভেতরে একটা পাথর জমা হলো
একটা ব্যথা অনুভব করতে পারলাম
ঝরের গতিতে এগিয়ে আসছে বাম পাশে,
যখন তুমি হাত ছাড়লে
তখন আমার মনে হলো আকাশটা ভেঙে যাবে
গড় গড় করে যখন চোখের পানি ছাড়ছে মাটিতে
জানো সাথে সাথে কান্নার ফোঁটা দেখে
মাটিও কান্না শুরু করে দিলো
অনুভবে বুঝতে পারলাম,
আর তখনই ভাবলাম আকাশের আর মাটির তো মিল নেই এইটা ভেবে হয়তো কাঁদছে।
মাটি ভাবছে মাটির কান্না আমার কান্নার সাথে মিশে যাবে দেখতে পারবো না, খোলা আকাশ পৃথিবী আমার কান্না দেখলো অথচ মাটির কান্না দেখলো না
এটা কি ঠিক হলো নীলাদ্রি বলো তুমি.?
তোমাকে কোথায় পাই,তুমি তো চলেই গেলে
তখন চিৎকার করে কান্না পাচ্ছিল খুব করে
আকাশের দিকে চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লাম
আকাশ ফিরে এলো মেঘ নিয়ে সেও বৃষ্টি হয়ে
বুঝিয়ে দিলো তার মনেও কষ্ট আছে
তাই তো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ছে আমার চোখের অশ্রুর সঙ্গে।
বৃষ্টি ঝড়েও আমার উপকার হলো যেনো কেউ আমার কান্না না দেখে এমন কী তুমিও না
তুমি তো পাশে থেকেও কান্না দেখোনি
দূরে গিয়ে কেনো অনুভব করবে আমার কান্না।
তুমি তো মুক্তি নিলে,মুক্তি এক তরফা হয়
আমি মুক্তি দিতে পারলাম কই
আর আমি মুক্তি কেনই দিবো বলো
তার একটা কারণ দেখাও?
যাকে ভালোবাসা যায় তাকে মুক্তি দিতে হয় না
ছেড়ে দিতে হয় স্বাধীনতার মাঝে
তাই তোমাকে মুক্তি দিতে পারিনি
মুক্তি দিলে আমার বলতে কিছুই থাকবেনা
তখন আমি শূন্য হয়ে যাবো একদম শূন্য
তুমিই থাকো আজীবন মুক্তি না পাওয়া
কবিতা নীলাদ্রির শিরোনামে।
তুমি ছেড়ে যেতে চাইলে আমি বুঝার সঙ্গে সঙ্গে
যেতে দিলাম,কেনো দিলাম জানো
তোমার ভেতর হৃদয় স্থানে নেই এখন আমি
যে যাওয়ার কথা বলে তখনই বুঝতে হবে
সে ছেড়ে দিতে চায় বন্ধন,
আর তাকে বন্দী করে ভালোবাসা যায় না
ভালোবাসাকে কখনো বন্দী করে রাখতে হয় না
তাকে গল্প কবিতায় সাজাতে হয়।
তেমনি তোমাকে নীলাদ্রি গল্প কবিতায়
বাঁচিয়ে রাখবো
শুধু ছেড়ে যেতে চাইলে তাই ছেড়ে দিলাম
তোমাকে মুক্তি দিতে পারলাম কই।