পড়ন্ত বিকেল শেষে ঠিক স্নিগ্ধ সাঝবেলায় দয়িতাকে নিয়ে  
সন্ধ্যা নদীর তীর ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাখালী পথে হেঁটে যাবো বহুদূর—
মহুয়া বীজনে তোমার এলো কেশ, নদীর মত তরঙ্গ তুলবে অন্তরে
হিজল গাছের নিচে বসে তোমার কোলে মাথা রেখে কাটিয়ে দেব সহস্র জনম
তোমার অঙ্গুলি স্পর্শ করে আমি হবো শঙ্খচিল—
সায়াহ্ন নামার পরে জোনাকি এনে তোমার ললাটে টিপ এঁটে দিবো
কোকিলের কুহুকুহু ডাকে তোমায় হারিয়ে ফিরে পাবো বারবার
প্রতিচ্ছায়া হয়ে তোমার শাড়ীর ভাঁজে হারিয়ে যাবো টুপ করে
চুপকথা হয়ে তোমাকে জড়িয়ে রাখবো অনন্তকাল—
রাত্রিটাকে ধরে রাখবো তোমার আঁখির পাপড়িতে
তোমার শাড়ীর আঁচল দিয়ে চন্দ্রটাকে নিশ্চল রাখবো ঊর্ধ্বো গগনে
কাল বয়ে যাবে, তবে নিশি পরিসমাপ্তি হবে না বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে—
আমরা হয়ে যাবো অমরত্বের আখ্যায়িকা।
-অক্টোবর/২০১৯