একদা মেঘলা দিনের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি...
অবাচী বাঁশঝাড়ের পাশ ঘেঁষে প্রশস্ত বিলের মাঝ দিয়ে তার নির্লিপ্ত চলে যাওয়া হৃদয়ে বিস্তীর্ণ ঝঙ্কার বয়ে গিয়েছিলো!
বৃষ্টিস্নাত দিনে নূপুরবিহীন তার দু'টি খালি পা, হৃদয়ে উত্তাল ঢেউ তুলে ছিলো।
আর কি হবে দেখা, না এই দেখাই শেষ নেত্রপাত করা!
মাটি স্পর্শ করলে তার পা দিয়ে জল গড়িয়ে পড়তেছিল জলাভূমিতে।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় দৃশ্য কিন্তু চোখের নোনা জলগুলো মুখে অলীক হাসির নির্ঝারতায় চারদিক আনন্দিত করে তুলেছিল।
তার চাহনি আজও চিত্তে জলোচ্ছ্বাসের বার্তা দেয়।
তার অনুভূতিগুলো আঁখির স্মারকচিহ্নে বুঝিয়ে দিয়ে গেল, যেতে না চাইলেও যেতে হয় সুদূর।
সেইদিন তার চলে যাওয়া বুকের গহীন বালুচর ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছিল নিঃশব্দে। তারপর আশা বেঁধে হয় তো সে চলে গেছে তার গন্তব্যে, হয়তো কোন এক গোধূলি লগ্নে হলেও দেখা হবে এই ভেবে ফিরে গেলাম দুজনেই!
আকস্মিকভাবে স্বপ্নেও যে আর কিরণ বিক্ষেপ করা হয়নি। অবাচী বাঁশঝাড় আর জলাভূমিটি আজও হয়তো আছে।
যদি থেকে থাকে, তা হলে বর্ষণ হলে আমাদ্বেয়কে তারা খোঁজে কারণ বিমর্ষ সেই উপাখ্যানের তারাই তো দ্রষ্টা।
আজও আকাশে মেঘ হয়, ঝিরঝির বৃষ্টি হয়, শীতল বাতাস বহে ধরণীতে, তার চলে যাওয়ার সময় হয় না কিন্তু অহর্নিশ দাঁড়িয়ে থাকে উভয়ের গুপ্ত প্রণয়।