তুমি সেই ললনা
তুমি সেই ললনা-
যে পাশ বাড়িতে বড় হওয়া
দেহ মনে সাজানো থর থরে তিলোত্তমা,
রুপ লাবণ্যচ্ছাসে অন্যান্যা।
মাথার ঘন কালো চুল,
আর নতুন শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
তাকিয়ে থাকতে সকাল ও সন্ধ্যাবেলা।
মুখের স্নিগ্ধ হাসি আর রুপের বাহারে
মনের মরু তীরে গজে তুলেছিলে
প্রেম বিলাসি লতা,
যা থেকে জন্ম নিয়েছে অফুরন্ত ভালবাসা।
তুমি সেই ললনা।
তুমি সেই ললনা-
যে রাতের গভীরে প্রেমের গল্প কাহিনী বলে
শরীরের শিহরিত করতে
যৌন লালসার প্রবল বাসনা ।
চোখের চাহনি দিয়ে মন সমুদ্রে
তৈরি করে দিতে
যৌবনের উতাল পাতাল তরঙ্গমালা,
রক্ত জড়ানো লাল ওষ্ঠের চম্বুন রসে
প্রবাহিত করতে যৌন সুখে ঝর্ণা ধারা।
তুমি সেই ললনা।
তুমি সেই ললনা-
যে মধুমাখা হাসির পরশে ম্লান করে দিতে
হৃদয়ে সুপ্ত হাজারো বিরহ জ্বালা।
গণ্ডদেশের সুরেলা কণ্ঠের যাদুতে
অন্তর নদে তৈরী করতে
সুরের মোহনা।
আল্পনা আঁকা নখের আঁচরে
হৃৎ দয়ালে একে দিতে পূর্ণিমার প্রতিচ্ছায়া।
কোমল উরের প্রবল আকর্ষণে
বাড়িয়ে দিতে
কামভাবের চরম উত্তেজনা।
তুমি সেই ললনা।
হ্যা,তুমি সেই ললনা-
যে জীবন যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি এনে দিয়ে
সাজিয়েছ নব পতির আঙিনা,
উপহারসরুপ আমাকে দিয়ে গেছ
কষ্টের তীব্র যন্ত্রণা।
তুমি সেই ললনা।