পৃথিবীতে বঞ্চনার যাঁতাকলে
যারা নিষ্পেষিত হয়
তাদের অধিকাংশ নারী।
কোন সমাজের লোকই নারীদেরকে
সঠিক প্রাপ্যতা বুঝে দেয় না।
নানা কৌশলে নারীদেরকে
প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত
করে রাখা হয়।
ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদেরকে
লেখাপড়ার সুযোগ না দিয়ে
চার দেয়ালে বন্দি করে
অন্ধ করে রাখা হয়।
ইভটিজিং এর ধোঁয়াশা তুলে
বয়োপ্রাপ্ত হওয়ার আগেই
নারীদেরকে বিয়ে দেওয়া হয়।
জন্মের পর থেকেই নারীদেরকে
বড় করে তোলা হয়
বঞ্চনার ছায়া দিয়ে।
তাদেরকে শিক্ষানো হয়
কখনো পুরুষের আগে
ভালো খাবার খেতে নেই,
বাড়ির বাইরে যেতে নেই,
উচ্চ বাক্যে কথা বলতে নেই,
এমনকি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত
সম্পদের সরেশ অংশও নিতে নেই।
নারীর দায়িত্ব সন্তান প্রসব করা,
সন্তানদের লালন পালন করা,
ঘর গুছানো, থালা বাসুন ও
জামা কাপড় পরিস্কার করা।
অথচ একজন নারী একজন পুরুষের
সকল সফলতার চাবি।
পুরুষ ব্যক্তিগত জীবনে
যত ধরনের কৃতিত্ত্ব অর্জন করে
তার পিছনে থাকে নারী।
নারী যদি পুরুষের অতিরিক্ত কাজে
সহযোগিতা না করে
তাহলে পুরুষের পক্ষে সম্ভব হয় না
সফলতার মুখ দেখতে।
একজন কর্মজীবী নারী
পুরুষের আগে ঘুম থেকে উঠে
সব কিছু গোছগাছ করে
নাস্তা পানি প্রস্তুত করে
তারপর এক সাথে কর্মে বের হয়।
কিন্তু একজন পুরুষ ঘুম থেকে উঠে
নারীর প্রস্তুত করা খাবার খেয়ে
কর্মস্থলে ছুটে।
নারীর কর্ম দৃষ্টির অগোচর
পুরুষের কর্ম দৃষ্টি গোচর।
এ জন্যই নারীরা বঞ্চনার শিকার।
সকল পেশার,সকল শ্রেণির
নারীর প্রতি
সবার সম দৃষ্টি দেওয়া দরকার।