বড্ড ভুল হয়ে গেছে আমার
আমার উচিৎছিল প্রতিবাদের
ধারাল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তুলে
সংগ্রামের চরম মুহূর্তের জন্য
প্রস্তুতি নেবার।
উচিৎছিল রাস্তায় অথবা দরজার
সামনে দাঁড়িয়ে
জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মত
ঝলসে উঠার।
উচিৎ ছিল রাইফেলর কুঁদো
বুকে চেপে ধরে
প্রবল হুঙ্কারে ছুটে যাওয়ার।
এর কোনটা না করে
বডড ভুল হয়ে গেছে আমার।
বহুদিন মুখ চেপে ধরে
মাথা নীচু করে চলছি
উদ্যোমতা দেখাইনি প্রতিবাদ
করার।
সে জন্যই হয়ত মাঝে মাঝে
সইতে হচ্ছে ছাগলের হুঙ্কার।
তবে একটা জিনিস জেনে
রাখা দরকার,
নীরব থেকেছি বলে
শরীরের তপ্ত রক্ত সহিষ্ণুতার
তুষারে
হিম হয়ে যায়নি আমার।
শৈশব হতে মধ্য যৌবনের
সকল শক্তি
এখনো দেহে মধ্যে রয়ে গেছে
সঞ্চার।
যে কোন মুহূর্তে
সকল দম্ভ অহমিকা
মাটিতে পিষে করে দিতে পারি
চুরমার।
এমনটা করার কামনা কখনই
ছিলো না আমার।
কিন্তু আজ আমি শপথ নিয়েছি
প্রতিশোধ নেবো,
প্রস্তুতি নিচ্ছি ভেঙে দিবো
সকল দম্ভ আর অহংকার।
বহু দিন ধরে অবলোকন করছি-
বাতাসে উড়ানো হচ্ছে
উল্লাসের পতাকা,
আর আমার দিকে ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে
পাথরের ঢিলা।
আমি এমন অবস্থা আর
দেখতে চাই না।
আমি এ ভাবে নির্যাতন সয়ে
বলির পাঁঠা হয়ে পড়ে থাকলে
নিভৃতে কষ্ট পাবে
বিশ্বের প্রতিবাদী সৈনিকদের
আত্না।
কষ্ট পাবে-
বাংলার ভাসানী
আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন
ভারতের মহাত্না।
অভিশাপ করবে-
বলিভিয়ার চে গুয়েভরা,
জার্মানির এডলফ হিটলার,
ভেনেজুয়েলার নিকোলাস মাদুরা।
ভৎসনা করবে-
কঙ্গোর প্যাট্রিস লুমুম্বা,
কিউবার ফিদেল কাস্ত্রো,
আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ড্রেলা।
ধিক্কার করবে-
ভিয়েতনামের হো মি চিন,
ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ
জর্জিয়ার স্তালিন।
তিরস্কার করবে-
সাইবেরিয়ার রাসপুতিন,
চীনের মাও সে তুং,
রাশিয়ার লেলিন।
গালমন্দ করবে -
যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো,
সাইপ্রাসের বিশপ ম্যাকারিওস,
এঙ্গোলার এন্টোনিও নিটো।
আরো অভিশাপ করবে -
ঘানার কাওয়ামী নক্রমা,
ইতালির গুসেপী,
জাম্বিয়ার কেনেথ কাউন্ডা।
আমি এ সকল প্রতিবাদী
সৈনিকদের আত্নার কষ্ট
দিতে চাই না,
চাই না তাদের আদর্শ থেকে
বিচ্যূত হতে।
আমি চাই
তাদের মতই শির উচু করে
দাঁড়িয়ে থাকতে,
প্রতিবাদ করতে,
প্রতিশোধ নিতে।