তুই যদি এক পলক দেখতে পারতিস,প্রেয়সী!
আমি কেমনভাবে বেঁচে আছি?
তাহলে তোর পাষণ্ড চিত্ত
ভেঙে খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যেত ।
দুচোখর কোণ হতে গড়িয়ে  আসত
করুণার প্রবল ঢল।
আত্ম চিৎকারের প্রবল কম্পনে
মাটি ফেটে হত চৌচির।
সমবেদনার করুন আর্তনাদে
ভারি হয়ে যেত বাতাস।
নিঃসঙ্গতার রাহু গ্রাস দিনে দিনে
নিঃস্ব করে দিচ্ছে আমায়।
তোকে না পাওয়ার তীব্র বেদনা
খামছে খামছে খাচ্ছে
আমার শরীর।
বিরহের মশক চুষে চূষে
খাচ্ছে রক্ত।
বেদনার আগুনে জ্বলে পুড়ে
ছারখার হয়ে যাচ্ছে বুক।
আমি ভ্রমর হয়ে ফুল হতে
নিতে চেয়েছিলাম সুখের গন্ধ
পাখির সাথে পাখি হয়ে
উড়ে গিয়ে গড়তে চেয়েছিলাম
সুখের রাজ‍্য।
তোকে বানাতে চেয়েছিলাম
সেই রাজ‍্যের রাণী।
কিন্তু ছলনার ঝর এক মুহূর্তে
লণ্ড ভণ্ড করে দিয়ে গেল।
একই মাটিতে জন্ম,
একই আলো বাতাসে বড় হওয়া,
একই এলাকায় বসবাস।
অথচ তোর সাথে কত ব‍্যবধান আমার?
তুই পতির সাথে উপভোগ করছিস
প্রকৃতির অপরুপ নির্যাস
আর তিলে তিলে ধ্বংস করে দিচ্ছে
আমায় নিঃসঙ্গতার রাহু গ্রাস।
শিশির ভেজা ভোর
সাতটা পচিশের গাড়ি
পুষ্প পাড়া,ধর্মগ্রাম,
জালালপুরের মোড়,
এ সবগুলো আজ শুধুই স্মৃতি।
জল ভরা পুকুরপার,লিচু গাছের ছাউনি
এগুলো ছিল তোর আর আমার
প্রেমের খুনসুটি।
কিন্তু কালের স্রোত সব কিছু
করে দিয়ে গেল মাটি।
তোর ডাকে সারা দিয়ে লাভ হলো না
আমার।
দুঃখের হিমেল তুষার জমাট বেঁধে দিচ্ছে
আমার তপ্ত রক্ত
দুচোখে অঝরে ঝরছে বেদনার বাড়িধারা।
কিন্তু পলক মেলে দেখার নেই কেহ।
তুই এক পলক দেখে যা, প্রেয়সী!
আমি কেমন ভাবে বেঁচে আছি?