চন্দ্রমুখী
- সহিদুল ইসলাম
আমার জন্য তুমি এখনো অপেক্ষায় থাকো? আমার কন্ঠস্বর শোনার জন্য তুমি কী উদগ্রীব হও কখনো?
তা ভাবতেই অশ্রুসিক্ত হই আমি!
মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডি পেরোলেই তোমার ছবি ভেসে আসে আমার মোবাইল স্ক্রিনে, তখন বুঝি তুমিও অপেক্ষায় আছো।  তখন আমার, কি যে ভালো লাগে তা বুঝাবার সাধ্য নেই।
দুটি বিষয় আমার খুব ভালো লাগে এক- মায়ের হাসি, দুই- তোমার কণ্ঠস্বর!
প্রিয়জনের মুখের কথা কার না প্রাণ জুড়ায়? প্রিয়জনের স্পর্শ কার না আকুলতা বাড়ায়? তুমি কখন যে আমার প্রিয়জন  হয়েছো - তা আমি নিজেই জানিনা। শুধু এতোটুকু জানি, শত চেষ্টা করেও মানুষ  ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারে না, জীবনভর সাধনা করেও কেউ ভালোবাসার বীজ বুনতে পারেনা, কিন্তু!
কখন যে ভালোবাসা ঘটে যায়, হয়ে যায়, তা কেউ জানেনা।
চন্দ্রমুখি তুমি! তোমার সামান্য হাসিতেই  অর্ধ পৃথিবী আলোকিত হয়।
আলোকিত হয় আমার মনোগগণ,
তোমার মনের নিউ ফোল্ডারে আমার জন্য যে সামান্য স্থান আছে,- তা ভাবতেই আমি উন্মাদ হই! লক্ষীটি আমার!  সযত্নে খেয়াল রেখো একটি কথা, তোমার মনের মেমোরি থেকে মোর স্মৃতির ফোল্ডার যেন ডিলিট হয় না কখনো। এতে আমি ভীষণ  কষ্ট পাবো। হয়তো অভিমানে দূর গগণে চলে যাব চিরদিনের তারকা হতে,তখন শত চেষ্টা করেও রিসাইকেল বিন থেকে আমাকে আর খুঁজে পাবেনা, এন্টিভাইরাস লোড করেও আমাকে আর সেভ রাখা যাবে না, শুনতে পাবে না আমার স্বরচিত কাব্য কথা।