বেদনার বহি:প্রকাশ
-সহিদুল ইসলাম

  জীবনে যাদেরকে খুব কাছের মানুষ ভেবেছি,  আপন করে নিয়েছি, 
তারা সবাই  আমার কাছ থেকে দূরে চলে গেছে।  তাই কাউকে আপন করে নিতে চাই না, কাছে টানতেও চাইনা। কিন্তু!
তুমি কখন যে এত কাছে চলে আসলে তা নিজেও জানিনা।  তোমার পবিত্র সুন্দর
মুখ খানা দেখলে পাথরসম  দুঃখও যেন জল হয়ে যায়।  কদিনই বা কাছাকাছি থেকেছো? 
অথচ!  তুমি এতো আপন হয়েছো যেন যুগ যুগের প্রিয় একজন মানুষ।
আমার কথা মনে থাকবে কিনা জানিনা, তবে
তুমি আমার হৃদয়ের সবচেয়ে গোপন, সবচেয়ে গহীন স্থানে আসন করে নিয়েছো।
সেখান থেকে মুছে ফেলাটা খুব দূরহ কাজ।  আমি এ কাজটা কখনো করতে যাবো না।  কারণ!
এতে শুধু আমি কষ্টই পাবোনা, হৃদয়ে রক্তক্ষরণও ঘটবে। কষ্ট সহ্য করতে পারলেও
রক্তক্ষরণ আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়।
কিছু কিছু ফুল শরতে ফোটে।  যেমন - শিউলি, শেফালী,  হিমঝুরি,পাখিফুল ইত্যাদি। 
এরা ক্ষনস্থায়ী!  তুমি আমার জীবনে এসেছিলে শরতের ফুল হয়ে। 
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আবার ঝরে গেছো।
ফুল ঝরে পড়লে গাছের  শাখায় রক্তক্ষরণ  হয় কিনা আমার জানা নেই, কিন্তু!
তুমি যে আমার মন থেকে  ঝরে পরেছো তাতে আমার হৃদয়ে শতবার রক্তক্ষরণ হয়েছে তা আমি অক্ষরে অক্ষরে টের পেয়েছি।
  তুমি হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে আমায় ভুলে যাবে। কিন্তু আমি
সহস্রাধিক চেষ্টা করলেও  তোমায় ভুলতে পারবোনা। তোমার কোনো সিক্রেট নাম্বার থাকলে  দিয়ে যেও,
যখন তোমায় খুব মনে পড়বে তখন সামান্য সময়ের জন্য হলেও একটু  কথা বলবো। আর তোমার জন্য তো আমার হিদয়ের দুয়ার সব সময় খুলে রেখেছি,
আমায় যখন মনে পড়বে তখনি কল দিবে।
কবিরা সবকিছুকে কাব্যিক দৃষ্টিতে দেখে,
তুমি এতে আবার অন্য কিছু মনে করোনা বন্ধু! তাতে আমি ভীষণ কষ্ট  পাবো। আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন ব্যথা,
সবচেয়ে গোপন কথাগুলো তুমি জানো!
তাই ইচ্ছে হলে ব্যথা দিয়ে আমার দুখের পাহাড়ের উচ্চতা বাড়ালেও তাতে আমার কষ্ট  নেই। শুধু দোয়া করো সহ্য করার ক্ষমতা যেন থাকে।  দুজনের প্রতিই একটা আবেদন- একজন আরেকজনের অংশ ভেবো, দেখবে
দু:খ তোমাদের কাউকে ছুঁতে পারবেনা।
তোমাদেরই অগ্রজ
৩০.১১.২৪খ্রি.