বন্ধু!
সহিদুল ইসলাম
বন্ধু! চলোনা মোরা জীবন থেকে বিশটি বছর মুছে ফেলি, চলে যাই কৈশোরে,
তুমি ষোল বছরের সেই সুন্দরী মমতাজ, আমি বিশ বছরের শাহ্জাহান।
উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা যেভাবে উচ্চারণ করে-
সেভাবে আমার সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে বলি, জীবনের সবচেয়ে সুন্দর কথাটি, যা বলতে পারিনি বিশ বছর আগে, তোমারওএতে মৌন সম্মতি! কেমন হবে লক্ষ্মীটি! তারপর দু'জনের দেখা হবে অন্তত বছরের একটি দিনে, যেমন দেখা হয়- শহিদ মিনারের সাথে পনেরো কোটি বাঙালির,
তারপর, কথা হবে, স্মৃতি হবে- অবশেষে জীবনের অন্তিম মুহূর্তে দু'জন দু'জনের খুব নিকটে আসবো, যেভাবে আসতে পারেনি মমতাজ-শাব্জাহান, শিরি-ফরহাদ। তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরবে, খুব শক্ত করে আমিও মিশে যাবো তোমার অস্তিত্বে,
তারপর দাঁড়িয়ে থাকবো- দু'জন দু'জনকে আলিঙ্গন করে, কোনো এক নির্জনে এভাবে দাঁড়াতে দাঁড়াতে একদিন দু'জনের পায়ে শিকড় গজাবে, আমি হবো গাছ-তুমি হবে ফুল; এভাবে দাঁড়িয়ে থাকবো অনন্তকাল, যতদিন চন্দ্র-সূর্য হারিয়ে না যাবে- যতদিন পৃথিবী বিলীন না হবে, যতদিন নতুন একটা জগৎ সৃষ্টি না হবে।