পিতা, তুমি আত্ন অহংকার,
তুমি আমার চেতনা ।
মর্মবেদনায় মরি যখন ওরা,
তোমার নামে করে প্রতারনা ।
পিতা, তোমায় ধারন করি অন্তরে,
স্মরন করি সন্মানে ।
কি যে ব্যাথায় পুড়ি যখন ওরা,
অপকর্ম করে বেড়ায় তোমারি নামে ।
হে পতাকা, তুমি তো প্রতিক,
আমার আত্ন মর্যাদার ।
তোমার বিরোধীরা যখন তোমায় উড়ায়,
ভূলন্ঠিত হয় আমার স্বাধিকার ।
হে মুক্তিযুদ্ধ, তুমিই আমার শৃঙ্খলা ভঙ্গের গান,
তোমাকে পুজি করে ওরা রাজনীতি করে, কাঁদে মন-প্রান ।
হে স্বাধীনতা, তুমি আমার প্রান স্পন্দন,
ফেলানীর লাশ ঝুলে রয় কাঁটাতারে, কাঁদি বোবা ক্রন্দন ।
রাজনীতি তোমার হাত ধরেই তো,
পেয়েছিলাম মুক্তির মন্ত্র ।
মানুষ পোড়ায় কঙ্কাল করো,
এরই নাম কি গণতন্ত্র ?
আমি তো এমন নেতা চাইনি,
যাকে ব্যাবহার করে, জাতিকে করবে বিভক্ত ।
আমি তো এমন পতাকাও চাইনি,
৪৪ বছর পরে ঝরবে জাতির রক্ত ।
আমি তো এমন মুক্তিযুদ্ধ চাইনি,
যেখানে থাকবে কোন বিতর্ক ।
আমি তো এমন স্বাধীনতা চাইনি,
সোনার বাংলা হবে বারেবার রক্তে সিক্ত ।
রাজনীতি তোমায় ধিক,
করুনা দিচ্ছি, ঘৃণাও ঢেলে দিলাম এক বুক ।
দরকার নেই এমন রাজনীতি,
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পুড়তে হয়, আমার ভাইয়ের মুখ ।