পাগল


দ্বিদলীয় রাজনিতীর যাতাকলে পিষ্ট নিপিড়িত জন সাধারন কে,সালাম জানিয়ে আমি আমার লেখা শুরু করছি আসসালামুয়ালাইকুম ।
রাজনৈতিক দূর্বিত্তায়নের শিকার আমারা বিগত ৪২ টি বছর । স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে সামরিক স্বৈরাচার দ্বারা
শোষিত হয়েছি মাঝের বেশ কিছু দশক । নুন্যতম দেশ প্রেমের অভাব দুইটি রাজনৈতিক দলকে মানুষ মারার সংগঠনে পরিণত করেছে ।
নৈতিক মুল্যবোধের অবক্ষয়, দুর্নীতি দেশ কে কলঙ্কিত করেছে বহুবার । হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির ধারা বাধাগ্রস্থ হয়েছে
রাজনীতির চরম খেলায় । নীতির রাজা রাজনীতি নাকি রাজার নীতি  রাজনীতি সেই প্রশ্নও এখন । গনতন্তের নামে প্রহসন, ক্ষমতার
পালা বদলে পরিবার তন্তের মোড়কে চলছে রাজতন্ত । ক্ষমতার লোভ সেই হিংস্রতা কে বাড়িয়ে দিচ্ছে বার বার । ভাবতে অবাক লাগে,
স্বজাতীয় ক্ষমতা কেন্দ্রিক ব্যাক্তি বর্গের দ্বারাই আমারা শোষিত হচ্ছি বিগত চার দশক । ব্রিটিশরা চলে গেছে,পাকিরা ও চলে গেছে কিন্তু
তাদের রেখে যাওয়া ভূত ভর করে রেখেছে,ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া দল ও ব্যাক্তি গুলোকে । দুর্নীতি,সুশাসনের অভাব,চরম খামখেয়ালীর
শিকার বরাবর সাধারন জনগন । আপনারা রাজনৈতিক দলগুলো হরতাল করুন আর ধর্মঘট যেই কর্মসূচি পালন করুন না কেন,
মরছি আমরা সেই সাধারন জনগনই । কখনো গনতন্ত রক্ষার নামে,কখনো স্বৈরাচার উৎখাতের নামে,যে নামেই হউক আপনাদের
আন্দোলনের মূল জ্বালানী আমাদের সাধারন জনগনের রক্তই । রাজনীতির কুৎসিত রূপ,ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে করেছে রাজনীতি বিমুখ ।
সঠিক নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূরণে ব্যর্থ দলোগুলোতে অদক্ষ,চাটুকার লোক গুলোকে ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণে সুযোগ করে দিয়েছে প্রতিনিয়ত ।
গণতান্ত্রিক দলগুলোর অভ্যন্তরে গনতন্তের চর্চা রুদ্ধ করে চলছে সৈরাতন্তের চর্চা । সাধারন জনগনের কোঠর জলশূন্য তবুও বিশ্বজিৎ,
ফেলানী,ইয়াছমিন দের মৃত্যু আমাদের চোখের পাতা ভিজিয়ে দিয়ে যায় বারবার ।
কিভাবে চলছে? কিভাবে দেশ চলবে?
প্রতি পাঁচ বছর পর পর আমার কি সেই ভাবনা নিয়েই পরে থাকবো?
গার্মেন্টস শিল্পের নামে শুরু হয়েছে নব্য ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শোষণ নিপীড়ন । ফিনিক্স ভবন স্পেকটাম,তাজরীন ফ্যাশন,রানা প্লাজা
রাজনৈতিক দলগুলোকে নাড়া না দিলেও আমাদের বিবেক কে নাড়া দিয়ে যায় বারবার ।
ক্ষমতায় যেই যান না কেন আমাদের রক্তের উপর দিয়েই ক্ষমতায় যাবেন । কখনো স্বৈরাচার পতনের নামে,কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে
লাঠি বৈঠার আন্দোলনের নামে,সভ্যতার নৃশংসতম প্রকাশ্য গনহত্যা করে মানবধিকার লঙ্ঘন করে আবার কখনোবা হেফাজত ইসলামকে
ব্যাবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা করতে রক্তস্রোত বইয়ে দিয়ে,যেভাবেই হউক মরছি আমার সেই জনগনই ।
প্রতি পাঁচ বছর পর পর  রাজনীতিবিদরা মুখে নির্লজ্জ হাসি দিয়ে ভোট চাইতে আসবেন আর আমারা জনগন আরও নির্লজ্জ ভাবে ভোট দিয়ে
তাদেরকে নির্বাচিত করবো ।
বর্তমান দুনিয়া ভাবে আগামী পঞ্চাশ বছর পরের ভবিষ্যৎ নিয়ে,আর আমরা আমাদের আগামিকাল নিয়ে ভাবতে পারিনা ।
সীমিত সম্পদ নিয়ে একজন মাহাথির মোহাম্মদ পেরেছেন,মালয়শিয়া নামক দেশ টাকে বদলাতে । লী পেরেছেন ছোট্ট একটি দ্বিপ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর কে
এশিয়ার ষষ্ট বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে,শুধু পারিনি আমারা অফুরন্ত প্রকৃতিক সম্পদ থাকা সত্তেও রাজনৈতিক সহিংসতায়,
আর অস্থিরতার কারনে এই দেশের চেহারাটা বদলাতে ।
জানি এই দায়ভার রাজনৈতিক দলগুলো নেবেন না কারন এই দায়ভার আমাদের কেনো আমরা আপনাদের ভোট দেই?
ধর্মের নামে ৪৭ সাল থেকেই দেখেছি রাজনৈতিক দলগুলোর ফায়দা লোটার প্রচেষ্টা । হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
ধর্মীয় জুজুর নামে বিনষ্ট করা হয়াছে বারংবার । স্ব স্ব ধর্ম পালনের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দলগুলো । আমার সরকারের কাছে
ভাত চাইনা,অর্থ চাইনা আমারা চাই একটি স্থিতিশীল,নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ যেখানে অবকাঠামোগত সুযোগ সরকার করে
দিবে আমরা সাধারন জনগনই উন্নয়ন করে নিবো । সাধারন জনগনের মনের কথা বুজতে ব্যর্থ কেনো দলগুলি?
যুদ্ধপরাধীর বিচার যেমন সাধারন জনগনের দাবি তেমনি ধর্মের অবমাননাকারিদের শাস্তির দাবিও সাধারন জনগনের দাবি
এটা কেন রাজনীতিবিদরা বুঝেনা?
আজকের শিক্ষিত সমাজের আমরাই কি এই দেশের দুরবস্থার জন্যে দায়ী নই?বড় বড় দুর্নীতির মূল কারিগর সমাজের
শিক্ষিত অংশের লোক দ্বারাই সাধিত হয়াছে । এদেশের গরিব,অশিক্ষিত মানুষরা কোন ভাবেই দেশের এই চরম সংকটের জন্যে
দায়ী না ।
সুশীল সমাজের নামে এই দেশের দক্ষ কিছু নাপিত দেশের সকল কাজে নাপ্তামি করতে এগিয়ে আসেন । মানবধিকার রক্ষার নামে
বিদেশ থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার লোভে সন্ত্রাস দমনের প্রতিবাদে তারা সবসময়ই সরব ।
কিন্তু যখন রাজনৈতিক সহিংসতায় এত লোক মারা যায় তখন তারা নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে থাকেন কেন?
মনিব ভক্ত কুকুরের মত এদেশের কিছু মিডিয়া যখন নিজ মনিবের স্বার্থে আঘাত পরে তখনই বিশস্ত ভৃত্যের মত ঘেও ঘেও
করে উঠে ।
এভাবেই কী চলতে থাকবে? এদেশের ভবিষ্যৎ কী? কারা দেশকে চালাবেন? কিভাবে চালাবেন?
রাত যত গভীর হবে ভোর তত সন্নিকটে ।
কুম কুম ইয়া হাবীবি কাম তানামু... উঠ হে আমার বন্ধু আর ঘুমাবে কত? ঘুম থেকে জেগে উঠার এইতো সময় ।
দেশের প্রতিটি জনগনের কাছে ঘুম থেকে জেগে উঠার ডাক পৌঁছে দিতে হবে । আর কত জড় পদার্থ হয়ে বেঁচে থাকা?
গন মানুষের জন্যে রাজনীতি নয় আমারা চাই গণনীতি । এই সকল লোভী,দুর্নীতিবাজ,ক্ষমতা পাগলদের থেকে একজন পাগলও
ভালো ভাবে দেশ চালাতে পারে । হ্যা হ্যা আমি পাগলের কথাই বলছি । পা-গ-ল =পালা বদল-গন আন্দোলন-লক্ষ্য অর্জন ।
Peoples Aligned of Generation Own Liberation=PAGOL
অহিংস ভাবে প্রতিবাদে পাগলের গন আন্দোলন চলবে থুথু নিক্ষেপ এর মাধ্যমে ।
আমাদের দরকার সত্যিকারের একজন কেন্দ্রীয় দেশ পাগল ।
পাগলের এই আন্দোলনে যোগ দিন ।
islamshahidul68@yahoo.com