বড় ব্যথা বাঁজিছে প্রাণে
সন্ধ্যা তুই ফিরে আয়,
সঙ্গীহারা হৃদয় যে মোর
তোর বুকে লুকাতে চায়।
দিনের আলোক রেখা
মিলায়ে সুদূরে,
নেমে আসিস সন্ধ্যা তুই
এই ধরণী পুরে।
সারা দিনের কর্ম ছাড়ি
তোকে যখন্ পাবো,
শান্তির নিঃশ্বাস ফেলি
ছুটি খাটেতে ঘুমাবো।
এলিয়ে দেহ ঘ্রান পাব সে
পাশেরই রজণী গন্ধ্যা,
ক্লান্ত দেহের শান্তি দায়িনী
চিত্ত তোষিনী সন্ধ্যা।
মোর বধু সেও ছাড়িছে মোরে
তোরে না পেয়ে কাছে,
বধু হারা এই জীবন আমার
এমনে কি করে বাঁচে?
করুণ কাজল নয়ন যে তোর
মুখেতে রাখিয়া হাসি,
বাসনা ভরা সন্ধ্যা আসিস
গগনকে ভাল বাসি।
তোর আগমনে কোকিল ডাকিবে
শিমুল ডালেতে বসি,
রাঙ্গা রবি সবে ডুবিছে বলিয়া
সেথায় উঠিবে শশী।
মোর বধু সেই একা দাঁড়িয়ে
স্নানের্ লাগি ঘাটে,
ত্বড়িতে আসিবে সন্ধ্যা ভাবিয়ে
পথিকেরা দ্রুত হাটে।
তারকা-শশীর শুভাগমনে
প্রাণেতে ফুর্তি ধরি,
মোর বধুকেও কাছে টেনে নেব
সাঝেঁর বরনও বরি।
তখনই প্রাণে ফুর্তি জাগিবে
সঙ্গী মিলিবে আবার,
প্রসাধণী যত সব কিছু দিব
মুখে ভরি দিব খাবার।
আবারও ঘরে প্রদীপ জ্বলিবে
সন্ধ্যারাতী দিয়ে,
সন্ধ্যা রাণী তখন-ই বলিবো
বধূ কাছে ফিরে পেয়ে।