গ্রীষ্মের দাবদাহে-
জন জীবন যখন পিপাসায় কাতর,
খাঁ খাঁ রোদ্দুরে
উত্তপ্ত ভূমিতে দ্বারায়ে আমি
তোমার প্রতীক্ষায়।
কালবৈশাখী ঝড় ভয় জাগাতে পারেনি
ঝড় তো বইছে বুকের ভিতর।
বর্ষার বাদলে-
জেগে উঠেছে হৃদয়ের সুপ্ত কোষ,
কর্দমাক্ত রাস্তায়
বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আমি
তোমার প্রতীক্ষায়।
সজল-কাজল মেঘেই বৃষ্টি ঝরেনি
বৃষ্টি ঝরেছে দু-নয়নে।
শরতের কাশবনে-
শুভ্র কাশ ফুলের পরশ নিয়ে
যমুনার কিনারায়
প্রবল আকাঙ্ক্ষায় বসে আমি
তোমার প্রতীক্ষায়।
রাতের ঝলমলে জ্যোৎস্নার আলো
মনে জাগিয়েছে আশার আলো।
হেমন্তের নবান্নে-
ঘরে ঘরে যখন উৎসবের আমেজ,
জোনাকির আলোতে
শিউলি, কামিনী, গন্ধরাজ নিয়ে আমি
তোমার প্রতীক্ষায়।
প্রভাতের সোনামুখী রোদের হাসি
তোমার ফেরার দিয়েছে আভাস।
শীতের সকালে-
প্রকৃতি যখন কুয়াশার বিস্তীর্ণ চাদরে,
কম্পিত কায়
মিষ্টি রসের হাড়ি নিয়ে আমি
তোমার প্রতীক্ষায়।
বৃক্ষপত্র হতে ঝরা শিশিরের শব্দ
মনকে বিমোহিত করে তুলেছে।
অবশেষে বসন্তে-
কৃষ্ণচূড়া, বকুল, মহুয়ার সৌরভ নিয়ে
তুমি এলে
নব রূপে রাঙ্গাতে এ জীবন,
প্রতীক্ষার অবসান।
ঐ তো কোকিল বলছে গানের সুরে
বসন্ত আসিয়াছে আজি আমার ঘরে।