চৈত্রের ভীষন খরায়-
আমার নয়নে ঝরেছে যে জল,
গীষ্মের প্রখর রৌদ্রতাপও
তা শুকাতে পারেনি;
দু- নয়নে জল রয়েই গেছে।
জ্যৈষ্ঠের তীব্র উত্তাপে-
আমার কণ্ঠে যে তৃষ্ণা লেগেছে,
বর্ষার ভারী জলধারাও
তা মেটাতে পারেনি;
এ কণ্ঠ তৃষ্ণার্তই রয়ে গেছে।
শ্রাবণের ভারী বর্ষণে-
আমার হৃদয়ে যে ভাঙ্গন ধরেছে,
শরতের কাশফুলের ছোঁয়াও
তা জোড়া লাগাতে পারেনি;
এ মনের ভাঙ্গন রয়েই গেছে।
আশ্বিনের আকস্মিক বানে-
আমার জীবনে যে দূর্দশা নেমেছে,
হেমন্তের নবান্ন উৎসবও
তাতে আনন্দ জোগাতে পারেনি;
এ জীবনে দূর্দশা রয়েই গেছে।
অগ্রহায়ণের কুয়াশাচ্ছন্ন নিশীথে-
আমার মনে যে ব্যথা লেগেছে,
শীতের সোনালি সূর্যের হাসিও
তা দূর করতে পারেনি;
সে ব্যথা অন্তরে রয়েই গেছে।
মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে-
আমার দেহে যে কম্পন ধরেছে,
বসন্তের নব হাওয়াও
তাতে উষ্ণতা যোগাতে পারেনি;
আজও এ অঙ্গ ক্রমাগত কম্পমান।