আমি অবাক আমি হতবাক
আমি নির্বিকার,
আমি নিঃস্ব, আমি দুঃস্থ,
করছি আত্ম চিৎকার।

আমি উচ্ছিত,আমি গর্বিত
হয়েছি আমি স্বাধীন,
আমি দুঃখিত,আমি নিন্দিত
আমি আছি পরাধীন।

আমি কালোবাজারি,খুনখারাবি
ধর্ষণ, লুটতরাজ,
আমি মাটি হিসেবে চরম ব্যর্থ,
কোথায় রাখি লাজ.?

আমি দূর্নীতি আর দূর্গতিতে
বেশ এগিয়ে যাচ্ছি,
আমি লক্ষ করছি,ঈগল,
কুকুর,শুকরের শ্যান দৃষ্টি।

আমি জন্ম দিয়েছি,জ্ঞানী,
গুনী আর বহু বুদ্ধিজীবি,
আমি লুন্ঠনে,শাসনে,শোষণে,
দেখছি তাদের ছবি।

আমি উলঙ্গ চর্চা আর বেহায়াপনায়
হয়ে গেছি সটাংচিৎ,
আমি খুঁটির জোর হারিয়েছি,
দেয়ালে ঠেকেছে আমার পিঠ।

আমি ইসলামের,মুসলমানের,
আমি সকলের মাতৃভূমি,
আমি উর্বর,আমি স্রষ্টা নির্ভর,
আমি অক্ষম জন্মভূমি।

আমি সম্পন্ন,আমি সমৃদ্ধ,
সমৃদ্ধ আমার প্রাগিতিহাস,
আমি চাই নতুন করে রচিত
হোক আমার নব্য ইতিহাস।

আত্ন চিৎকার -আত্ম নাদ, নিজ নাদ, যেমন: আত্নগোপন, আত্নবিশ্বাসী,আত্মসম্মান,আত্নসমর্পণ,আত্মসমালোচনা, আত্নহত্যা ইত্যাদি।
আর্তচিৎকার- পীড়িত,অসহায়ের আর্তনাদ যেমন:
"আর্ত মানবতার কথা" "অশান্ত পৃথিবীর বিক্ষুব্ধ জনতার আর্তচিৎকারের ধ্বনি"ইত্যাদি।
অর্থাৎ- যাদের উপর জুলুম প্রান্তিকতায় পৌঁছেছে,যারা হার-হামেশাই অধিকার প্রাপ্তির পরিবর্তে বঞ্চিত হোন।

"আত্নচিৎকার" কবিতা টি তে স্বাধীন বাংলাদেশের অপ্রত্যাশিত কিছু কু প্রাপ্তির কথা উঠে এসেছে,
সাথে সাথে কিছু প্রাপ্তির উল্লেখ ও হয়েছে।
অর্থাৎ কী ছিলাম আর কী আছি এরকম তো হওয়ার কথা না!
কাঁচা কলমের অধিকারী কাঁচা-কাব্যহিন কবি সর্বদিক বিবেচনায় আর্তচিৎকারের তুলনায় আত্নচিৎকার কেই বেছে নিয়েছেন।