দুর্ভাগা বাংলাদেশ শুয়ে এখন
মালোপাড়া মন্দিরের মেঝেতে
দৃষ্টি শক্তিহীন বাংলা বেড়ায় হাতড়ে
নীরবে প্রায় শব্দহীন কোমল স্পর্শে ।
হ্যা, পাওয়া গেছে ভগবানের মস্তক
দ্বিখণ্ডিত শরীর তাও অক্ষত অবয়ব
ভগবান কাঁদছে অঝোর ধারায়
শ্রাবনের ধারাপাতে মেঘমল্লারে
কোন সে সাগর জলে দেবে দুঃখ ধুয়ে
কোন সে বস্ত্র খানিতে দেবে অশ্রু মুছে ।
পিতৃসম জ্যাঠার কাছে ধর্ষিতা নারী
কারে দেবে ঠুকে নালিশ সবাইতো পশু
দেবগন ধরাশায়ী ভুতলে চূর্ণবিচূর্ণ
বসনহীন পৃথ্বী লাজে মরে মরমে
বাংলা কাঁদে নিঃশব্দে ।
নিজের শরীর পুড়েছে পুড়ছে নিরপরাধ
তিনশত ভেড়া দাড়িয়ে নীরবে
কে জানে নিল কোন সে শপথ
নেবে কি সেই শপথ আবারো সিঁদুরের নাশ
আবারো উদ্বাস্তু ,হাহাকার, হবে লক্ষ জীবন হরন ।
আপন ভূখণ্ডে রিফিউজি ভগবান
যেমনটি হয়েছিল ৭১এ একদফা
বহুকষ্ট আর গ্লানি সয়ে
সয়ে অত্যাচার মাড়িয়ে স্বজনের খুন
দিয়ে পাড়ি যোজন যোজন পৌঁছেছিল সীমান্তে
ষোল কলার নেতা তখনও খাটি মুসলমান
চলে গেছে পশ্চিমে বাচাতে নিজ জীবন
বাংলা জানে একথা তার জন্ম বারতায়
লেখা ছিল এক কোটি ভগবান শরণার্থীর কথা
যাদের ত্যাগ আর গ্লানি ভরা জীবনের বিনিময়ে
রচেছিল বাংলার সীমানা
অভাগা ভগবান দিয়েছে জীবন দিয়েছে মান
বিয়াল্লিশ বছরে করেছে অর্জন
নতুন নাম ভগবান মালাউন ।।
২০১৪ তে লিখিত