জেনে গেছো তুমি-বার্ধক্য ছুঁয়েছে তোমায়
সাম্যতা ভেঙ্গে অন্ত্রগুলি যার যার নিয়েছে আশ্রয়
যৌবনের সোনালী দিনের মত চাও জাগাতে পুনরায়
বোধকরি কক্ষনো হবেনা তা,একেই বলে সময়
সফেদ চুল রাখো ঢেকে কালিঝুলি মেখে
ফি বছর দন্ত বিসর্জন হয় মহাদুঃখে
দৃষ্টিশক্তি শুধু কমে বদলে চলো চশমা
নিশির উত্থান বড় কষ্টকর দিয়ে দাও ক্ষ্যামা
এখানে ব্যাথা আজ কাল হবে ওখানে
এভাবেই অদল বদল হয় শুধু জীবনের মানে
আত্মশক্তি প্রবল হয় যেন করে ফেলি কিছু
সব মত পথ তন্ত্র এসে দাড়িয়ে থাকে পিছু
কোনটি রেখে কোনটি নেবো দ্বিধায় পড়ে খাই খাবি
সব পথেই দেখেছি অনাচার আর ক্ষমতা হল গিয়ে মুল চাবি।
ভালোবাসা প্রবল হয়ে বুকের মধ্যে করে হানাহানি
তাবৎ আপদ সরিয়ে মনে হয় কোথাও আছে প্রিয়বন্ধু জানি
দেবে সাড়া আমার মতো কোন বৃদ্ধ বিরহিণী
শেষ সময় কাটাবো শুধু করে কানাকানি
বন্ধুত্বে লাগেনা সনদ লাগেনা নিকাহনামা
শুধু হৃদয়মাঝে বাজিয়ে বাঁশি পরে নাও হলুদ জামা
এখন ফাগুন বনেতে আগুন মনেতেও জ্বলছে তাই
কি পচিশ কি পঞ্চাশ ওইযে আগুন একই তাপে জ্বলবে সকল সময়।
বার্ধক্যে আপনজন কেন জানি দূরে সরে যায়
অচেনা অজানা কোন বিপ্লবী বন্ধু হয়ে যায় ।।