শৈশবে হৃদয় থাকে অজানা
মহাসমুদ্দুর সম বিশাল আঙ্গিনা ।
কৈশোরে এবং যৌবনে তা হয়
সাগর থেকে উপসাগর
যৌবন মাঝারে হয়ে রুপান্তরিত
আকার নেয় খরস্রোতা নদীর
বহমান দ্রুত লয়ে ধীর তালে
কারো বা সেই খরস্রোত
শুকিয়ে হয় বালুকাবেলা
নিরেট কর্কশ চরাভুমি।
হেথায় হোথায় দূর্বাদল
কৃপণ জলধারা দৃশ্যমান ।
বার্ধক্যের জলাশয়ে ফুটে
থাকে লাল পদ্মফুল কদাচিৎ ।
বিকল হৃদয়ের মানুষেদের
বরাবরি হয় তা বিলের কাজলা কালো
বদ্ধ জলাশয়,কুটিল,জটিল,দয়াহীন
বোধবিহীন,পচনমুখ শাপলায় পূর্ণ
আমি শিশুদেরে পেলে কাছে
জড়িয়ে বুকে ধরে হৃদয়াবেগের
মাধ্যাকর্ষণে নেই ধার সাগর
মহাসাগরের বিশাল ঢেউমালা
জলাশয়ের কালো শাপলা দেখে
হাটি আমি দ্রুতবেগে সড়কের
অপর পারে , ভয় হয় যদি
ছুঁয়ে যায়,মেখে নেই পঙ্কিলতার রেনু ।
আমার হৃদয় সাগর থাকুক
হয়ে উঠুক ঢেউয়ে উথাল পাতাল
প্রান ঢেলে মধু দেই দুহাত ভরে
শিউলি ফুলের সাথে কাঁঠালিচাঁপা
আর ঝুমকো জবা দেই করতল জুড়ে
যেন না হয় ঘাটতি হৃদয়াবেগে ।
তবু, তবুও বয়েসের টানে পৃথিবীর
অমোঘ নিয়মে আমিও হয়ে উঠি
নির্মম , প্রতিশোধ কামী
শীর্ণ নদীর কাছাকাছি
কখনো সখনো ভুল ভেঙ্গে
দ্রুত ভাটিতে ছোটাই
উপ সাগর হয়ে মহাসাগরের পানে ।
যেতে যেতে সদ্য কৃত পাপগুলির
হয়কি মোচন , যায়কি তা বিস্তর
জলাধারে ধুয়ে মুছে হয় পঙ্কিলতাহীন
ওসব শুধু সেই জানে যে পাঠিয়েছিল
আমায় এই আনন্দময় ধরাধামে ।।
২০১৩সাল।