তুমি যে আমায় দুঃখ দাও!
এতো দুঃখ তুমি কোথায় পাও?
কই কখনো তো মুচকি হেসে বলনা
এই ভালোবাসা সুখ সব নাও।
আচ্ছা! দুঃখ কি তোমার শত্রু হয়?
যদি না-ই হয়, তাহলে শুধু আমাকে দিয়ে দাও কেন?
কিছুটা দুঃখ তো তুমিও রাখতে পারো।
কই কখনো তো নরম কণ্ঠে বললে না
এই দুঃখ গুলোকে দুজন একসাথে ভাগাভাগি করবো।
সবসময় আমাকে দিয়েই স্বস্তির নিঃশ্বাস নাও।
বুঝেছি, আমাকে দুঃখ দিয়ে তুমি শান্তি পাও,
ঠিক বলেছি না?
নাহ, তা হবে কেন!
হয়তো আমি দুঃখ পেলে তোমার ভালো লাগে,
আমি তোমাকে অনেক জ্বালায় কী না!
আচ্ছা! তুমি যে আমায় দুঃখ দাও!
এতো দুঃখ আমি রাখবো কোথায়?
আমার পুরো জীবন জুড়ে তো শুধু তুমি আছো।
তোমাকে রেখে দুঃখ কে কী করে জায়গা দিবো?
দুঃখের সাথে না হয় তুমি একটু জায়গা দিও।
ভয় নেই তোমার, বিনিময়ে না হয় আমি সুখ আর ভালোবাসা দিবো।
ওহ কী যা তা বলছি, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম
তোমার তো ভালোবাসা দেবার মানুষ আছে; আমি তো প্রাক্তন।
এতোসব কথা শোনাচ্ছি বলে রাগ হচ্ছে, তাই না?
রাগ হওয়ারই কথা, আমি তো সবকিছুতেই একটু বেশি করি।
আর সেজন্যই তো তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছ।
তবে জানো কী? আমার তাতে বিন্দুমাত্র আফসোস হয় না।
অবাক হলে? ভাবছো যে মানুষটা তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারতো না, আজ এ কথা বলছে কেন!
আসলে তুমি আমাকে ছেড়ে গিয়েছ ঠিকই,
কিন্তু তোমার দেয়া দুঃখগুলো আমাকে ছেড়ে যায় নি।
এই দেখো তোমাকে লিখতে গিয়ে চোখের কোণে জল এসে গেলো, হয়তো কিছু পড়েছে।
সে যাইহোক, তোমাকে একদিন বলেছিলাম না; এতো দুঃখ কোথায় রাখবো!
হ্যাঁ অবশেষে রাখার জায়গা পেয়ে গেছি।
তুমি ছেড়ে যাওয়ার পর দুঃখ গুলোকে বুকের মাঝে রেখে দিয়েছি, খুব যতন করে।
তোমার দেয়া দুঃখ বলে কথা, অবহেলা করি কী করে!
তুমি যে আমায় দুঃখ দাও!
বিনিময়ে তুমি কী সুখ পাও?
কই কখনো তো মুচকি হেসে বলনা
আজ থেকে আর দুঃখ দেবো না যাও।