হযরত মুহাম্মদ (সঃ) করেন এরশাদ,
জানো কি তোমরা
কি হক প্রতিবেশীর?
পরে যদি মুসীবতে
সান্ত্বনা দাও তাকে।
যদি সে চায় সাহায্য
কর তারে আনুকূল্য,
যদি চায় কর্জ
দাও তারে ধার চাহি যৎপরিমিত।
হয় যদি সে মুখাপেক্ষী
কর তারে সহোযোগি,
সে যদি হয় অসুস্থ
কর সেবা-শুশ্রুষা তাহারে।
সে যদি মারা যায়
জানাযার সহিত যাও তবে,
যদি পায় আনন্দ কোন বিষয়ে
দাও মোবারকবাদ তাঁহাকে।
ব্যতীত অনুমতি বাড়ির পার্শ্বে
উঁচু করিওনা নিজের বাড়ী,
যাহাতে হয়ে যায় তাহার
হাওয়া বাতাসের বন্দী।
করিলে খরিদ কোনো ফল
দাও হাদিয়া তাহাকেও,
ইহা করিতে যদি না পারো
তবে গোপনে ঘরে ফল আন।
যেন বাহির না হয় ফল নিয়ে
তোমার সন্তানগনও,
যাহাতে কষ্ট না পায়
পড়শীর শিশুরা দেখিয়াও।
কষ্ট দিওনা পড়শীরে
তোমার ঘরের ধোঁয়া দিয়ে,
পাকানো অংশ দাও যদি তারে
হাঁ তবে ভিন্ন কথা চলে।
জানো কি তোমরা
কি হক প্রতিবেশীর?
ঐ পবিত্র সত্তার কসম
যাহার কুদরতি হাতে আমার প্রাণ।
আল্লাহ তায়ালা
করেছেন দয়া যার উপর,
সে ছাড়া জানে না কেউ
প্রতিবেশীর হক কাকে বলে।
হযরত জিবরাইল (আঃ) বারবার
নবীজিকে দেন তাগিদ পড়শীর প্রতি,
নবীজি ভাবেন ওয়ারিশ বানাইবো
প্রতিবেশীরে হয়তো আজই।