বাংলা আমার মাতৃভূমি; বাংলা আমার প্রাণ,
লাখো শহীদের রক্তস্রোতে লিখেছি তোমারই নাম
পদ্ম পাতার দীঘির জলে বৃষ্টি ভেজা চোখে
রাঙিয়ে দিবো গোধূলি মায়ায় কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে।
শস্য-শ্যামলা, ধূলি-রাঙ্গা মেঠো পথের বাঁকে,
বাংলার বুকে আমি জীবন খুঁজি; জীবনেরই দামে
সোনালী স্বপ্নে কপালে-কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এঁকেছি আমি শ্রেষ্ঠবাংলা লাঙল-জোয়াল কাঁধে।
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার, তরীতে উঠিল জল
অস্ত্র কাঁধে নেমে পড়েছিল প্রদীপ্ত যুবকের দল।
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে; পাকিস্তানি সৈন্যের তরে,
সংগ্ৰামে নেমেছিল দামাল সৈন্য দৃপ্ত পায়ে হেঁটে!
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে মিশেছিল লাল-সবুজে
তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল জেগেছিল বাংলার বুকে,
পীড়িত-জনের নিঃশ্বাস তারে দিয়েছে চলার গতি
গুলিতে নিহত বীর বাঙ্গালী অঙ্গে দিয়েছে জ্যেতি।
ধন্য এ সোনার বাংলা এ যুগে রয়েছি জীবন লয়ে,
ত্রিশলক্ষ্য কন্ঠে ধ্বনিত তুমি সোনালী পথের পরে
সম্মুখে ক্ষতে তুচ্ছ করেছ তুমি; শাসন-ত্রাসন ভয়
রাজভয় হে কারাশৃঙ্কল তুমি;হেলায় করেছ জয়।
দিনে দিনে হয়ে বর্ধিত-স্ফীত শত মজলুমের বুকে,
দগ্ধিত হে বাংলার সূর্য আজ ছিল প্রকাশের মুখে
তাহাই যেন বা প্রমূর্ত হয়ে আজ জ্বলন্ত শিখা ধরি
ওই বাংলা আজ লাল-সবুজে রঙিন ধরণী ভরি।