ওহে,
       ছিলে যে তুমি এক পক্ষীচরণী
       অক্ষির অগোচরে গভীর সমারোহে।
       বিনয়ী হে তুমি লাল পদ্ম
       যেনো নির্মল তুমি মিষ্টি আরোহিনী!!

ওহে,
      বৃষ্টিতে ভেজা কুয়াশার পানি
      তৃণ মূলে জীবন্ত তুমি,
      তোমার আবদ্ধে প্রকৃতির রূপে
      এই ধরণীও আজ নবীন মনে সাজে!!

ওহে,
       অন্ধকারের মাঝে আঁধার আলো
       গভীর মনে আকাশের প্রাণে;
       তুমি জ্যোৎস্নার আলোয় জ্বলজ্বলে
       নিশির রাতের সেই সমুদ্রে ভাসে!!

ওহে,
      তোমার রঙে রামধনুও আজ
      ছোকানুর তরে সাজে;
      পদ্মা-মেঘনার প্রাণ ধ্বনি হে তুমি
      তিমির প্রহর ভরি অতন্দ্র নয়ন তোমারই!!

ওহে,
      মৌসুমী ফুলের কন্ঠস্বরী
      তোমার কন্ঠে বেঁধেছ গান।
      নদীর ঢেউয়ে উথাল-পাতাল
      প্রকৃতিকে দিয়েছ প্রাণ!!

ওহে,
      রূপোলি নদীর রূপোলি ইলিশ
      নদীর বুকের ছায়াসঙ্গীনী।
      রুপার চেয়েও দামি তোমার
      প্রাণ প্রফুল্ল চোখ দুটি!!

ওহে,
      তোমাকে নিয়ে লিখতে গান
      বানিয়েছি রচনায় মহাকাব্য।
      রংতুলির ছোঁয়ায় সাজিয়ে দিয়েছি,
      গোলাপের ন্যায় পবিত্র আঁধার।
    

ওহে,
বিশ্বাসে বাঁধনে আমার এ, ভুলিয়েছ তাঁহার এ
কী বলিব তোমায় আমি-
ঠায় দিয়েছ তোমার হৃদয় এ;
খড়িব যাহারে, তুমি থাকিলে
যাবো একসাথে, সত্যের সন্ধানে॥

ওহে,
তুমি পড়িলে বিপদের মুখে
রহিব তোমার ই পাশে নিজের জীবন ভুলে,
সংসারে তুমি আছো সুবরদে, আমি আছি চির বিরাগে
তোমায় প্রাণ দিতে, সহিব মোর প্রাণ ক্ষয়ে!!