একা চলেছি আঁধার রাতে
নেই তো কোন পথিক সাথে
পথ ধরেছি নিষ্প্রদীপে।
দুর্গম কাটা ভরা পথ দিয়ে।
পথের এক পাশে কাজলা দিঘি
যেনো দৃষ্টিতে আসা
উম্মাদনার ভাস্কর জ্যোতি।
গাত্র ধারণে অজস্র বারি
প্রকৃতির রূপ বিচিত্রপূর্ণ এক সমৃদ্ধি।
কাজলা দিঘির তীর ঘেঁষে
পথের প্রান্তরে চলেছি অগোচরে-
জোনাকির দীপ্তি জ্বলজ্বলে
চাঁদের রশ্মি পথের বুকে-
হেঁটে চলেছি নবীন তৃণে।
পথ এগোতেই লোচনে ধরা মিলে
ডালিম গাছের স্বীয় কলিতে।
ভ্রমরের ভীড় প্রত্যহ বৃক্ষে
অগাধ বন্ধনে সদন সাজিয়েছে।
সামনে যেতেই সন্ধান মিলে
কদমি গাছের ডালে-ডালে।
থোকায় থোকায়-ফুলের মাঝে
কি যেন একটা উকি মারে।
হঠাৎ গা যেনো মোর শিউরে উঠে
বাল্যকার সেই উপকথাটি মনে পড়ে।
কদমি গাছের সেই ভূতেদের আড্ডা
ভীতির শমনে শুধু প্রভুর নাম জপে:
চপল মনে পথ ধরি ফির,
প্রগাঢ় ভয়ে পিছু তাকি মাঝেমাঝে,
অনেক পথ পাড়ি দিয়ে
পৌঁছুনু তব নদীর কিনারে।
নৌকায় উপবেশনে তবে-
মাঝির সাথে হাসি মজারই প্রতিচ্ছলে
আঁধার রাতের অবসান শেষে
আঁখি মিলে মোর প্রত্যুষে!