তুমি রণবীর, তুমি রণজয়ী
সত্যের সৈনিক কিবা বীর বাঙালি,
বাংলার বুকে তুমি অমর আকাঙ্ক্ষা
মুক্ত স্বাধীনতার দাবি আনা যোদ্ধা।
তুমি নির্ভীক রূপে সুর সৈনিক
স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন গড়া কাব্যিক,
যার হুঙ্কারে গর্জে ওঠে বাংলা
পাক হানাদারের অন্তরে অন্তরে-
জেগে ওঠে ভীতির কম্পন।
বন্ধ হয়েছে সকল জাতের শোষণ , লুণ্ঠন, বন্টন।
তুমি দুর্দম্য, তুমি দুর্বার
ঝংকারে বেজে ওঠা ডঙ্কা,
তুমি উন্মাদ, তুমি প্রাণনাথ
তুমি জয় ভেরি নিশান
দ্বৈরথের বিশ্বজয়ী ঈশান।
তুমি গেরিলা যুদ্ধের পণ্ডিত
মুক্তিযুদ্ধের সমর সৈনিক।
তুমি দুঃসাহসিক রণ যোদ্ধা
যুদ্ধের ময়দানেও যার হাসি অট্ট
যেন অন্তরে পোষণ রয়েছে,
ত্রিশ লক্ষ শহীদের জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড।
তুমি রক্তঝরা মার্চ, এক অগ্নিঝরা ইতিহাস
তুমি বাংলার সূর্য সন্তান, একাত্তরের মৃত্যুঞ্জয়ী
তুমি জাতির দীপ্ত কান্ডারী।
নিপীড়িত নির্যাতিত ও শোষিতের ভান্ডারী।
তুমি রৌদ্র-জ্বলা বিষ দাহন
অগ্নিগিরির তল বুকের অগ্নি সিন্ধু
তুমি বাংলার হারানো বঙ্গবন্ধু
বাংলার লাখো মানুষের প্রাণ
যার অর্জিত স্বাধীনতার সুঘ্রাণেই
বাঙালি আজ সুমহান।
তুমি বাঁশির সুরে সুরে উত্তাল অগ্নি
তরঙ্গে তরঙ্গে বেজে ওঠা বিপ্লবী,
তুমি দুর্বলের শক্তি, দুর্বার বাংলার মহা রক্ষী।
বয়েছ শোণিতের ঝড় ও বন্যা
তুমি লৌহের সেই জিঞ্জির
প্রলয়ংকারী ঝড় তুমি, কখনো বা স্নিগ্ধ সমীর।
তুমি উজ্জ্বল নক্ষত্র
সুমহান ভাতৃত্বের উৎস,
স্বাধীনতার প্রেরণা, তুমি মুক্তির সন্ধান
জালিমের জগতে তুমি প্রতিবাদ তুফান।
সশস্ত্র যুদ্ধে তুমি দুরন্ত সৈনিক
দুর্গমে দুর্জয়ী তুমি বাংলার দশদিক।
তুমি বজ্রের শৈল প্রাচীর
দেদীপ্যমান সূর্যের হাসি।
যার দুটি আঁখিতে বাংলার স্বপ্ন আঁকা
অন্তরে অনির্বাণ বাসনা ও দীপ্ত বহ্নিশিখা।
বাংলায় তুমি কাব্য জগতের উচ্চ গিরি
প্রজ্বলিত রবির সামনে যেমন মোমের বাতি।
এমন দীপ্ত শিখা জ্বালিয়ে দেশের তরে,
অনির্বাণ হয়ে স্মৃতিতে রহিবে
প্রতিটি বাঙালির অন্তরে অন্তরে!