মেঘ বালিকা নায়র যায় , বলে যায় ,' বেদে বউ - সাজিয়ে রাখিস বেদের বহর, আগামি সনে আবার দেখা হবে ' ।
ফড়িং ডানায় উড়ে যায় , উড়ে উড়ে দূরে যায় , পিছনে ফেলে যায় ডাহুকী কান্নার দিন ।
বেদে বউ শরীর ভেজায় যৌবনা নদী জলে,
বিষাদে ভরে যায় ঘোরলাগা দুঃখ প্রহর
কেউ কেউ লোভনীয় দৃষ্টি দিয়ে কাঁটাচেরা করে তার উদ্বাস্তু শরীর । দুঃসময়ের সংবিধান হাতে , পুতুল পুরোহিত সেজে আমরা বসে থাকি নির্বিকার
ধ্যানজলে ভেসে যায় বিরহী- শঙ্খধ্বনি ।
পার্বণীর লোভে ভাসে বেদের বহর, বেদনাকে বুকে ঢেকে- বেদে বউ হাতে নেয়
ভাঙাচোরা স্বপ্নের রিমোট কন্ট্রোল, অপেক্ষার রাত কাটে সূর্যস্নানের আশায়, সকাল হলেই পাথর পরাণ বেঁধে শুরু হয় নৌকো জীবন, ভাসমান গেরস্থালি,
ঘাট থেকে ঘাটান্তরে ফেরিওয়ালা বেসাতি ।
ফ্যাশনেবল রীতিক্রম যখন বৈষম্যের পর্দা টেনে দেয় , বেদে বউএর নৌকো-ঘরে হাসে অদ্ভুত নৈরাজ্যতা ! স্রোতের টানে ভাসে যাযাবর জীবনের পাণ্ডুলিপি, বেদে বউ নিত্য পাঠ করে বৈধ বশীকরণ মন্ত্র ! পাওয়া না পাওয়ার টানাপোড়েন নিয়েই সাজায় জীবিকার বিজ্ঞাপনি--' দাঁতের রোগ সারাই, বাতের ব্যথা সারাই, ভাঙা সংসার জোড়া লাগাই, কামরূপ কামাখ্যার তাবিজ বেচি- তাবিজ আছে গো তা-বি-জ'-----!!