হত ভাগ্য পাপিষ্ঠ আমি
নিঃশব্দে চোখের অশ্রু ফেলে
করুনার্থ প্রার্থনা করি বিধির
স্নেহকর স্পর্শ চাহিনা কারো
জীবনের সন্ধ্যা অতি সন্নিকটে।
পূর্ব জম্মের মানুষের মত
হাজার বছর আয়ু চাহিনা
লন্ঠনের আলোর মত
জ্বলিতেছে এজীবনের বাতি
দীর্ঘ নিঃশাস টানার বুজি অন্ত।
নির্দয় রুপে অনেক কাটিয়েছি ধরাতে
করুনা দৃষ্টিতে কিছুই দেখার ইচ্ছে নেই
মুমূর্ষু রোগীর মত শয্যার প্রান্তে
মৃদু কন্ঠে কাউকে ডাকার অবকাশ নেই
গম্ভীর ভাবে একটু চেয়ে থেকে
অনেকেই হয়তো মুখ ফিরিয়ে নিবে।
ভুল করেছিলাম রুপের নেশায় মেতে
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম কলংক সাগরে
পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর নির্মম নীতিমালা
অতিরিক্ত ভালবেসে অনেক পেয়েছি জ্বালা।
অবহেলার যন্ত্রণার আঘাতে
মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রহর গুনছি
শেষ বিদায়ে যাএা ধ্বনি
কেবল মাএ আমিই শুনছি।
পূজারিরা যেমন পূজা শেষে
মূর্তিকে ফেলে রাখে জলে
তেমনি আমায় রেখে দিও
বাঁশ বনের নিচে অন্ধকার কবরে।
।