দেখতে গেলাম প্রাণের পরশ বঙ্গোজ্জ্বলের বাঁকে
রাজবাড়িটার দুকূল ছাপায় বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে
এত হাসি এত গান আর হাজার রঙের বাহার
পহেলা বৈশাখের এ এক অনন্য উপহার।
ছেলে বুড়ো সব মানুষের আনন্দ না ধরে
কেউ বা নাচে কেউ বা বাঁশি বাজায় আপন সুরে
রঙিন শাড়ি নক্সা আঁকা হাতে মাথায় মালা
শীতল ছায়ার উষ্ণ ছোঁয়ায় নবীনরা উতলা
হাতে গলায় বৈশাখী সাজ মন নাচে ছন্দেতে
ভূবন জুড়ায় মুখের হাসির মিষ্টি সুগন্ধেতে।
একটু ফাঁকে ঘুরতে গেলাম ঐ দিঘীটার কাছে
রঙিন সাজে হাসছে আশা বন্ধুদের আড্ডাতে
মিষ্টি হাসির দোলায় কাঁপে নীল আকাশের তারা
সময় চলে হাওয়ায় দুলে সবাই আত্মহারা।
একটু দূরে হেঁটে যেতেই বসছে লাঠি খেলা
লাঠি হাতে জোয়ান বুড়ো মাতাই সারাবেলা
জিলাপী আর পাঁপড় ভাজার দোকান সারি সারি
সাফী আবার বেলুন নিবে বায়না তাহার ভারি
খুশির জোয়ার দুচোখ ভরে চড়ে ঘোড়ার গাড়ি
নতুন স্বাদের পুলকেতে আহা মরি মরি!
বৈশাখের এই নতুন দিনে শুভযাত্রা করি
মিলে মিশে থাকবো সবায় এই বাসনা করি
সামনে নতুন দিনগুলি যায় এমনি হেসে খেলে
শান্তি সুখে ভরুক জীবন মনের পেখম মেলে।
১৫ এপ্রিল ২০১৫, সংশোধিত ১৬ এপ্রিল ২০১৬
নাটোর।