যে মাটির স্বাধীনতায়
ত্রিশ কোটি লাশের গন্ধ
এখনো যায়নি উবে।

যে মাটিতে শহীদের রক্তদাগ
গাবকষের কালো জমাটের মতো
উপেক্ষিত হয়।
সে দেশে মিথ্যাকে চিনিয়ে দেয়া বারণ
সত্য বলাতে ভয়।
বিস্ময়, বড় বিস্ময়!

এখানে রংধনু ভেঙে খান খান,
জীবন্ত লাশ বয়ে চলে
আঠারো কোটি প্রাণ।
চলছে সময় উল্টোদিকে
পরিবর্তন কবে?

কবিরা নির্লজ্জ, কারণ
তারা সত্যবাদি।
গোপন প্রেমের কথাও তারা খুব
খোলামেলা বলে।
এ ভাব তুমি বুঝবে না,
বুঝতে, কবি হলে।

কবিদের নির্লজ্জ বলো-
লজ্জা করে না দেশ !?
নিরপেক্ষতার কথা বলে
সবারে দিয়েছ ডাক।
মুক্ত গানের বাণি বলেছো,
রক্ত দানের গ্লানি দিয়েছো।
এখন পক্ষ অনিমেষ!

তোমাদের লজ্জা বলতে গেলে
সকল খাতা, সকল পাতা
সাগর-কালি
হয়তো হবে শেষ।

কবিরাই সত্য বলতে পারে।

আজকে সকল ভয়ের উর্ধ্বে
জয় নয়, ভয় নয়, হবে হোক
যত ক্ষয়।
যুক্তিরথ? মতামত?

আয়না সমূখে
দাড়াই—বো তোমারে।

যে দেশে নির্লজ্জতা হামেশাই হয়ে উঠে
চোখবাঁধা মূর্তির কাজ,
সে দেশে প্রেমিক কবির নগ্ন বয়ানে
কি এমন লাজ!?

যে দেশে পরিমাপ পাল্লা
নির্দ্ধিধায় হেলে পড়ে
অর্থ ওজনের পাশে,
সে দেশে কে রাহাজানি করে,
কে করে ধর্ষণ?
মেয়ে, মা অথবা বোনের সাথে
ব্যভিচার নাকি ব্যাঞ্জন?
তাতে কি যায় আসে!?

যে দেশে নিউট্রাল টেবিলে
কাঠ-হাতুড়ির ঠকঠকানি
হয়ে পড়ে টাল!
কানে শব্দ কনকনে শীত
আধারবাসি হাসি হাসি
আলোকবাসি বেসামাল!

যে দেশে অর্ডার শব্দে
বুক-পাঁজরে, বর্ডার ভাঙে মাজলুমের,
ঝলকানি দেয় জালিমগুলোর দাঁতে।

সে দেশে, হতাশে হায় বোলো না
কারণ, কোথা সে ন্যায় পাবে না।
হাত খুলে কিল ছোড়া হোক, মশালের
আলোক উড়ুক সাধারণের হাতে।

এছাড়া আর নেই কোনো পথ
বদ্ধ কপাট, রুদ্ধ মিটিং?
বিফলে সব মতামত।

কবির সাথে কন্ঠ মেলাও,
হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ
সব অন্ধ মুর্তির চোখ
খুলে দাও,
সমাজটা বদলাতে।

              কবির আহবান
                   -শাহাদাৎ শুক্ল
              রচনাকাল- ২২/১১/২০২২ খ্রী.