সত্যিই বলছি
এমন হবে কখনও ভাবিনি আগে!
ঠিক আছে, প্রথম থেকেই বলি
হঠাৎ করেই খেয়াল করলাম
বুকের বা'পাশে জন্ম দাগের মত
কি যেন একটা দাগ
খুব একটা বড়ও না
তবে ছোটও বলা চলে তাকে;
এর আগে কখনও দেখেছি?
নাহ, মনে করতে পারছি না।
ইদানীং আমার সার্টের বা পকেটে
প্রায়শই একটা সুগন্ধি চিঠি পাই,
আশি'র দশকের ধাঁচে লেখা চিঠি!
ঝর্না কলমে লেখা;
কে, কাকে, কেন দেয়
ঠিক বুঝে উঠতে পারি না!
কাউকে সম্ভোদন করে নয়
সহজ সরল ভালবাসা ভরা
তবে ভালবাসি ভালবাসি করে নয়
অদ্ভুত নীরবতায় ভালবাসার এক চিঠি!
পকেটে পেলেই
যত্ন করে পড়ি, লুকিয়ে রাখি।
মাঝে মাঝে মনে হয়
চিঠির জন্যে অপেক্ষা করছি আমি;
অবাক করার মত ব্যাপার
চোখ মেলেই যে আমি এতদিন
ইমেইল গুলো দেখে নিতে ভুল করি না
সেই আমিই এখন
চোখ মেলেই - বুক পকেট টা হাতাই
সবার আগে
যদি কোন চিঠি পেয়ে যাই!
অবাক করার মত ব্যাপার।
হঠাৎ নতুন চিন্তা ভর করল আমায়
আমার সার্টগুলো যে খানে ঝুলানো
সে খানটায় একটা ক্যামারা বসিয়ে দিলাম
ডেক্সটপে ২৪ ঘণ্টা রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা করলাম।
যাবে কোথায় সোনা পাখি টুনটুনি
ধরা তোমায় দিতেই হবে এবার!
হল না - কোন ফলাফল এলো না এতে
অনেক দিন কোন চিঠিও পেলাম না;
কিন্তু হঠাৎ করেই
বুকের বা'পাসটায় ব্যথা অনুভব করলাম।
চামড়া পুড়ে গেলে যে ব্যথা
ঠিক সে রকমই পোড়া পোড়া ব্যথা;
ছোট একটা কালচে দাগও পড়েছে এতে
হয়ত আতংকিত হবার মত কিছু নয়।
অনেক দিন হল ক্যামারা উঠিয়ে নিয়েছি
চিঠি আর আসে না; আমারও
ইমেইলের দিকে মনোযোগই বেশি এখন;
মাঝে মাঝে মনে হলে
কখনও সখনও বুক পকেট টা চেক করি।
বুকের কাল দাগটা আগের চেয়ে
সামান্য বড় হয়েছে এখন;
ডাক্তার নিশ্চিত
ওটা রোদে পোড়ারই দাগ!
আমি কিছু বলি না
কি বলব?
সূর্যের আলোয় হেটে চলা
আমার বহু পুরানো অভ্যাস
তবে এমন রোদে কখনও পুড়িনি আগে।
ভাবছি
পুরানো চিঠি গুলো একটা একটা করে
বুক পকেটে রাখা শুরু করব আবার;
উপকার হলেও হতে পারে এতে;
কে জানে
চেষ্টা করতে দোষ কি?
ক্যানবেরা ৩ অক্টোবর ২০১২