কে জানে ঠিক কবে থেকে
এক অজানা দ্বীপের, স্হায়ী বাসিন্দা আমি।

একাকী, বন্ধু বান্ধবহীন; জন মানবহীন;
ছয় মাস আলোয় আলোয়, ছয় মাস অন্ধকারে।

তাই বলে, ভাববার কোন কারন নেই যে
আমি নিতান্তই একা!

অচেনা অজানা
এক প্রজাতীর সাথে আমার বসবাস।

অদ্ভুত এ প্রজাতী,
কি মানষিকতায়
কি আচরনে
কি ভাষায়;

আমি বনে যাই
অজাগতিক, অপ্রাকৃতিক
ভিন গ্রহের মানুষ
এক, নিতান্তই একা একজন।

ওরা সবাই যুদ্বে ব্যস্ত
বাচবে বলে,
আমি ভালোবাসি
বেচে থাকার আসায়;
বেচে থাকি
ভালোবাসার জন্যে।

মাঝে মাঝে আমার আকাশে
এক রাজকন্যাকে
তারার মত ভাসতে দেখি;
আমি বন্ধু ভেবে তারাকে দেখি
রাজকন্যা আমাকে দেখে কিনা
জানি না।

দিবা রাত্রি দুই মৌসুমেই
হাত বাড়াই আকাশের পানে
আমি প্রার্থনারত রই;
হয়তো যুগের পর যুগ
হয়তো শতাব্দীর পর শতাব্দী।

এক সুন্দর সকালে
পা রাখে রাজকন্যা
দ্বীপের মাটিতে;
দাড়ায় মুখোমুখী আমার;
সাড়া মেলে আমার প্রার্থনার
অবশেষে
প্রার্থনা ভংগ করি আমি।

কি চাও বলো?
রাজকন্যার মিষ্টিস্বর মুহিত করলো আমায়।

মুক্তি, মুক্তি চাই আমি!
এসো, হাত বাড়াও
তুলে ধরো আমায়
আমি এই কৃষ্ন গর্ত থেকে
মুক্ত হতে চাই।

আরো মিষ্টি করে হাসলো
রাজকন্যা - বললো
কোন পৃথিবীর মানুষগো তুমি?
তুমি কি জানো না?
রাজকন্যাদের
হাত থাকতে নেই
মন থাকতে নেই
আবেগ থাকতে নেই
থাকতে নেই
কোন ভালোবাসা;
পাথর হতে হয় মন।

এখানে কোন স্হান নেই বন্ধুত্বের!

থাকে শুধু নিজের স্বার্থ
কি পেলাম - কি পেয়েছিলাম
রাজ্য আর প্রজা।

বোকা প্রেমিক!
তুমি প্রার্থনা রত হও!
আমি তোমার রাজকন্যাই থাকবো।

০৬ ডিসেম্বর ২০১০
ক্যানবেরা