(১)
শৃঙ্খলার বেড়ি থেকে বলছি আমি
আজ দেশ স্বাধীন হয়েছিলো।
এই দিনেই পূর্ব দিগন্তে নতুন রবি উঁকি দিয়েছিলো।
শিশুর মুখে ফুটেছিলো আধো আধো বুলি
মুচকি হেসেছিল কৃষ্ণচূড়ার ঝরে যাওয়া ফুল গুলি।
কৃষকের হাসি মাখা মুখ আর বাউলের সুর
এসেছিলো এই দিনে হয়ে নতুন ভোর।
সুর হারানো পাখি হয়ে বলছি আমি
আজতো সেই দিন যেদিন
মুক্ত আকাশে মেলেছিলাম ডানা।
দোয়েল শালিকের গাইতে গান
ছিলো না আর মানা।
মৃত প্রায় গাছে গজিয়েছিল কচি সবুজ পাতা।
লাখো বুকের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছিলাম আজকের স্বাধীনতা।
(২)
অন্যায় অর্থের মাঝ থেকে বলছি আমি অট্টহাসি হেসে।
রাজাকার আলবদর আমি
এদিনেই এসেছিলাম মুক্তিসেনার বেশে।
শহিদের বুকে পা রেখে দিব্যি আছি বেশ
বাংলার মাটিকে বানাবো আমি
অত্যাচারিত ক্ষুধিত এক দেশ।
শাসন করেছি শোষন করেছি
করেনি কেউ প্রতিবাদ করেনিতো কেউ একাত্তরের চিৎকার।
আমি রাজাকার!আমি রাজাকার!
বাংলায় ছড়াবো হাহাকার
বাংলা তোমায় করবো ছারকার!
(৩)
বাংলার বাঘ বলছি আমি
আজ বিড়ালের সাঁজে।
রাজাকারের হুংকারে কম্পিত আমি মরেছি লাজে।
এ দিনেই তো আমার গর্জনে
কেঁপে উঠেছিল বাংলার মাটি।
অত্যাচারিরা বলেছিল 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি'
আজ দুর্বল আমি ক্রোধহীন এক রাজ
অন্যায় অবিচার দেখেও বলছি আমি
করবি কি আর
দুমুটো খেয়ে পরেই বাঁচ।
(৪)
কবির কলম বলছি আমি
কালি প্রায় শেষ।
শূন্য কাব্যে লিখেছিলাম শুধু একটি কবিতা
নাম তার বাংলাদেশ।