ভূমধ্য পারের অবরুদ্ধ মরুর বুকে
নিস্তব্দ রাতের নিরবতায়
এ কিসের আওয়াজ শুনি আজ?
দ্রিম দ্রিমা দ্রিম দ্রা দ্রিম, ধ্রুম।
ছিন্ন হস্ত দুগ্ধপোষ্য শিশুর কান্না
পরিহাস করে চলেছে কি কেবল
তোমাকে আমাকেই? নাকি,
আমাদেরই শ্রমে গড়ে তোলা ঐ
মহাবিশ্বের তাবৎ মনুষ্যকেই?
ইট পাথরের গুলতিটা আসছে ফিরে
দানবিকতায় গর্জে উঠা কামান হয়ে।
বোকার হদ্দ এই পাজি ছেলেদের
কেউ কি বলবে আজ, ‘থামরে বাপ,
দিনের শেষে বিশ্ব মনবতা এখন ঘুমিয়।
মিছেমিছি সব চেঁচামেচি আজ’।
তার চেয়ে ঢের ভাল, ‘সয়ে যাও।
তোমার রক্ত নদীর তীরে
শন্তি-জাহাজের অপেক্ষা তোমার
নয় কি মহাআহাম্মকী এক’?