একদা নিরবধি যে নদী গিয়েছিলো বয়ে
আমার শিরা উপশিরা ভেদী।
ভরা যৌবনা নদীর জোয়ারের জলে
জন্মেছে মনে বন সুশোভিত সবুজের।
ঘাস ফঁড়িং এর নিঃশাব্দিক হাসির নির্জাস
জাগিয়ে তোলেছে গান আমার
রক্ত কনিকার অবিরাম স্রোতে।
মায়া ভরা ডাকে যার
কত যে শত বার
উঠেছি দোলে আমি মহাপ্রানো জ্ঞানে।
কত শত সন্ধ্যা কেটেছে আমার
সর্পিল মমতার নদীটার বহুডোরে।
কষ্ট পললে ভরে গেছে সে,
থেমে আছে আজ, বহুদিন।
নিরব ধ্যানে চলেছে কেঁদে সে
জমেছে ধুলি তার সকল ভাঁঝে।
কাকচক্ষু জলের স্বচ্ছ পরশে
উপছানো তটের কল কল ধ্বনি
আহা শুনিনাতো আমি আর।
সন্ধ্যা মলতি ঘ্রাণে
মায়বী বাঁশির মোহিনী তালের নাচ
ফেলে রেখে পাশে
কেনো সে নীরব আজ?
আমার সাধের বাঁধানো ঘাটে
কদাকার বিচ্চুর আনাগোনা।
বিষাক্ত সরীসৃপের নিঃসঙ্গ চলাচল
থামিয়ে দিয়েছে নদীর
প্রাণোচ্ছল ঢেউটারে।
আমার রন্ধ্রের
অন্তহীন বেদনার তলানিটা যেনো
নদীর পরতের শুষ্ক বালুর স্তর।
শুনি তাই আমি আমার গহীনে,
অন্তহীন আর্তনাদের স্বর।