শ্রভ্রাবহের অবগাহনে পূত হে সওদাগর।
কালের সওদা কাঁধে ছুটিয়েছিলে ঘোড়া তুমি
মহাকালের পানে।
মরা চাঁদোয়ার কৃষ্ণ রন্ধ্রে, রাঙ্গা স্ফুলিঙ্গের তূণে
এনেছিলে প্রাণ, আমার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল
কিম্বা জীবনানন্দে।
বজ্রধাপানির শুদ্ধ হুঙ্কারে
ফনাতুলা সাপেরে করেছিলে নির্বংশ।
বজ্রকণ্ঠী জনকের ডাকে সঁপেছিলে শির
প্রশ্নহীন উচ্চারণে।
গোলাপের মালী তুমি।
কাঁটা বনের ওপারে, পুলসেরাতের পার হতে
এনেছিলে গোলাপ মুষ্টিবদ্ধ হাতে।
টুপি খোলা সালাম তোমায়।
আল মাহমুদের মায়ের নোলক চোরিতে
এসেছিলো যেদিন তারা,
রচেছিলে সেদিন তুমি সোনালী কাব্য
ঐ বারুদের পঙক্তিমালায়।
তুমি আজ তারা, উড়ছো মুক্তমনে।
পানি নয়, ঢালছি রক্ত আমরা এখানে
তোমার লাগানো পুষ্পল বাহুর
এই কৃষ্ণচূড়ার মূলে।
পারিনি হতে তোমার স্বপ্নের উত্তরসূরী,
জোড় হাতে তাই ক্ষমা চাই।
হিংসার কীট গড়েছে আসন আমার
চেতনার মাস্তুলে।