আমি কখনোই সে কথা বলিনি,
তোমার চোখের গভীরে যে সন্ধ্যার আলো
শালবনের ছায়ার মতো শান্ত হয়ে নেমে এসেছিল,
যেন হারিয়ে যাওয়া গ্রাম্য নদীর অন্ধকারে
আমি খুঁজে পেয়েছিলাম একাকী পৃথিবীর ছায়া।

আমি কখনোই সে কথা বলিনি,
তোমার কণ্ঠস্বর ঝরা শিউলি ফুলের মতো
নীরবতায় ভেসে এসেছিল বাতাসে,
যেখানে হেমন্তের শুকনো পাতা
নিজেকে বিলিয়ে দেয় মাটির কোলে।

আমি কখনোই সে কথা বলিনি,
তোমার চলে যাওয়া ছিল মরুভূমির পথিকের মতো,
যে একদিন ঘাসের মায়ায় হারিয়ে গিয়ে
খুঁজে পায়নি আর কোনো সজীব জলধারা।
তবু সেই শুকনো বালুরাশিতেও
আমি শুনতে পেয়েছিলাম জীবনের শব্দ।

আমি কখনোই সে কথা বলিনি,
তোমার হাসি যেন রাতজাগা জোনাকির আলো,
যা দূর থেকে পথ দেখায়—
কিন্তু কাছে এলেই নিভে যায়
নিঃশেষিত এক রাত্রির অন্তিম স্পর্শে।

আমি কখনোই সে কথা বলিনি,
তোমার ছায়া এখনো দাঁড়িয়ে থাকে জ্যোৎস্নার ঘাসে,
যেখানে চন্দ্রমল্লিকার সুবাস মিশে আছে বাতাসে।
আমি সেই সুবাসে প্রতিদিন ডুবে যাই,
তবু বলি না, কারণ কিছু নীরবতা চিরকাল বেঁচে থাকে।