(কবিরা নাকি মাঝে মধ্যেই কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যান। মাঝে মাঝে তারা কল্পনার সাথে কথাও বলেন। এটা সে রকমই একটা কথোপকথন...।।)
কল্পনা: এই যে...... হ্যা তোমাকেই বলছি। এমন কেন তুমি? আমার সাথে বুঝি কখনোই নিজ থেকে কথা বলতে ইচ্ছা হয়না?
(মেয়েটির এই কথায় কবির আবেগ আরও বেড়ে গেল। তার সাধারন কথাগুলো ছন্দের মিল পেতে শুরু করলো।
কবি: "লাগাম ছাড়া এ মনমাঝি
কত্তকিছু চায়,
চাইলেই কি মন বেচারা
সবকিছু আর পায়"?
( কবির চাহিদায় মেয়েটির আগ্রহ বেড়ে গেল।)
কল্পনাঃ তাই? তা মন আর কি কি চায় একটু শুনি তো?
(মেয়েটির এ কথায় কবির একটু অভিমান হল।
সে বুঝি বোঝেনা, কবির মন কি চায়?
তাই কবি অভিমানী সুর ফুঁকল)
কবি:
"মনের কথা মনেই থাকুক,
লাভ কি হবে বলে?
মনের কথা বুঝেই নিতে
মনের মানুষ হলে!"
( মেয়েটি এবার একটু লজ্জিত হল। সে কবিকে খুশি করার টোপ দিল)
কল্পনাঃ আমি কি আর এমনি এমনি বলি,
তুমি অনেক সুন্দর করে কথা বল?
(কবি হাল্কা প্রশংসার গন্ধ পেল। তাই সে খানিকটা লজ্জা পেয়ে মেয়েটির দিকে আর দু'টা লাইন ছুড়লো।)
কবি:
"এমন করে বলো নাকো
লজ্জা আমি পাই,
লজ্জা পেলে মুখ লুকানোর
আচল আমার নাই।"
(এই কথায় কবির জন্য মেয়েটির প্রশংসা আর একটু বেড়ে গেল)
কল্পনাঃ তুমি যে কি, উফফ! বলে বোঝানো
যাবেনা। সত্যি অসাধারণ।
(কবি এবার মেয়েটির কথায় আরও লজ্জা পেল। তার মনে হল মেয়েটি তাকে একটু বেশী বেশীই বলে ফেলছে।)
কবিঃ
"বারে বারে কেন আমায়
লজ্জা দিতে চাও?
লজ্জা দিলে মুখ লুকাবার
আচল তুমি দাও।"
..............(চলবে)