একাত্তর বলে-
" হে নবীন, ও প্রবীন, ওঠ্ তোরা সবে জ্বলে,
দে ঘুচিয়ে দে নিশির কাল, বাহুর শক্তি-বলে।
বিভীষিকা-ভয়-ত্রাস আর ভীতি যতই আসিবে কাছে,
না হয়ে বেহুস একবার শুধু দেখ ফিরে তব পিছে!
কি দেখলি?
আমায়? আমি রক্তাক্ত, মোর জর্জরিত গা,
বাগ্মী কন্ঠে বলছি তোদের যা, এগিয়ে যা।
কে আমি? যদি হয় প্রশ্নোদয় জানিতে পরিচয়টা,
আমি একাত্তর যে করেছে দূর তোদের ওই অধীনতা।
নশ্বর দেহ কভু নাহি পায় অবিনশ্বর প্রান,
তবে দ্বিধা কি তোর কল্যাণ তরে প্রান করিতে দান?
ওই শোন-
মৃত্যুর ধ্বনি, কাঁদিতেছে কেহ বিপদের অনুকূলে,
মশাল নে হাতে, যা না তুই ছুটে নিপীড়িতদের দলে।
ওই দেখ-
টাইপরা বাবু কুলিদের পেটে মারিতেছে ফের লাথি,
তপ্ত লহুর ন্যায্যাঘাতে দে না তার পা দুখানি কাটি।
ওই দেখ-
রাজাকার মিয়া আরামে বসিয়া করিতেছে ব্যাভিচার,
ভাঙ্গিয়া দে সব আরামী-আয়েশী, গলায় দে দড়ি তার।
ভাঙ্গিয়া দে সব ইটের প্রাচীর অসত্য কালো ধাতু,
সত্যের তেতো মুখে নিয়ে বল আহা! অমৃত-অমৃত!"