কি কহিব, কি লিখিব
হাঁদারামের কথা,
হাঁদারামে পণ করিল
হইতে হইবে নেতা!
হাঁদারামের চক্ষে ছিল
চশমা বাহারি,
গালে তাঁহার থাকত সদা
গোঁফ সুদ্ধ দাঁড়ি।
হাঁদারামের দিবা রাত্রি
মুখের ঘোষণা,
"নেতা হইয়া দূর করিবো
সবার যাতনা!"
পান চিবিয়ে, দাঁত খিচিয়ে
হাঁদারামে কয়,
"এই যে মানুষ দুঃখে কান্দে
আমার নাহি সয়।
আমি হাঁদা, দিলটা সাদা
কোন কাদা নাই,
নেতা হইয়া হগলেরই
সেবা করতে চাই।
"হাঁদারামের কথায় কথায়
লোকের হাতে তালি,
তালির শব্দ তালে তালে
হাঁদার পকেট খালি।
বেচলো জমি, বেচলো ভূমি
বেচলো গাভী গুলি,
সর্ব শেষে বেচলো হাঁদা
বৌয়ের নাকের বালি।
স্বপ্নে দেখে হাঁদারামে
মস্ত প্রাসাদ বাড়ি,
সিংহাসনে বসে হাঁদা
করছে দাদাগিরি।
আরো দেখে হাঁদারামে
তাহার দুটি পায়!
দীন-দরিদ্র নোয়ায়ে মাথা
বাচার পুঁজি চায়।
হাঁদারাম ও জেদ করিয়া
মারছে কষে লাথি,
ঘুম ভাঙ্গিয়া দেখে হাঁদা
ভাঙ্গছে বৌয়ের কটি।
মিছিল হইল, মিটিং হইল
শেষ হইল টাকা,
হঠাৎ হাঁদা বোধ করিল
তাঁহার পকেট ফাঁকা।
হাঁদা এবার ভাবছে কি আর
নির্বাচন টা ছাড়া?
নির্বাচনে জিতেই এসব
হাঁদার বাচ্চারা!
হাঁদারাম ও জয়ের মালা
জিতবে হয়ত ঠিকই,
আম জনতা ভাবতে পারো
পরের দৃশ্যটি??