সুরঞ্জনা আর আসিব না নিয়ে কোনো গঞ্জনা,
তিলে তিলে সইবে না আর সেই প্রেম বঞ্চনা।
দেখব না কোনো কিশোরীর পায়ের ঘুঙুর,
বাড়ি আর ফিরব না করে রাত দুপুর।
কখনো হতে চাইব না গাঙচিল বা বুনোহাস,
তোমাদের পাশেও চাইব না করতে বসবাস।
যাইব না মূমুর্ষূ রোগীর বিচানার কিনারে একা,
যদি হয়ে যায় কখনো তোমার সনে দেখা!
আমি এপারে তোমাকে চাই না আর,
যদি দেখা হয় ওপারে আবার।
আমি বুনোহংস হয়ে নেই কোনো লাভ;
তুমি বুনোহংসি হয়ে, জমাবে না নতুন কোনো ভাব!
লাল ঠোঁট বুলানো দেখব না তোমারী হাসি!
এইসব মনে করে যাইব না চোখের জলেভাসি!
রকমারী ভাব লয়ে আর আসিব না ফিরে,
যাইব না মানবহীন কোনো স্থানে বা লাখোলোকের ভিড়ে।
তবু- তোমার কেনো মরিবার হয়েছে সাধ?
হাত-পা বেঁধে ভরদুপুরের পুকুরে জলে অগাধ!
আমি সইব না এ অপমৃত্যু কোনো কারণে;
তুমি ফিরে এসো আমার এ-আকুল করা বারণে।
আমি আগের সেই প্রেম চাইব না, তবু বেচে থাকো,
নিজেকে ফিরে এনে আড়াল করে রাখো--
সুরঞ্জনা আর আসিব না নিয়ে কোনো গঞ্জনা,
তিলে তিলে সইবে না আর সেই প্রেম বঞ্চনা।