সন্ধ্যেবেলায় তেঁতুল গাছের ডালে;
অন্ধকারে পেত্নি আগুন জ্বালে।
ভুত-পেত্নি দেখতে কেমন লাগে;
চোখে দেখার ইচ্ছে মনে জাগে।
মাঠের মানুষ ছুটছে তখন বাড়ি;
তেঁতুলতলায় এলাম তাড়াতাড়ি।
মনে মনে ছিলোই অনেক ভয়;
ইচ্ছে তবু ভয়কে করবো জয়।
সঙ্গে করে সরষে নিলাম কিছু;
মারবো ছুড়ে ভুত যদি নেয় পিছু।
সাহস করে গেলাম ভুতের কাছে;
আমায় দেখে ভুত-পেত্নি নাচে।
নাকি গলায় বলে,' এবার মজা;
তোর রক্তে ভিজিয়ে খাবো গজা।
না চাইতেই মিললো ঘড়ার জল;
আয়তো রে ভুত, ধরবো ওকে, চল্'।
আমি বলি,' আয় না তবে কাছে;
সরষেদানা আমার হাতে আছে।
ধরতে এলে মারবো ছুঁড়ে মুখে;
কাকটি হয়ে মরবি ধুঁকে ধুঁকে।'
ভুত বলে,' তুই মস্ত বড় বোকা;
সরষে দিয়ে আমায় দিবি ধোকা?
আমার গলায় সরষেদানার মালা।'
ঘোর কলিকাল, অবাক হওয়ার পালা!
সরষেদানার পেট ছিদ্র করে;
মালায় গেঁথে গলায় রাখে ধরে!
পেত্নি বলে,' সরষে আমার চেলা;
চিবিয়ে খাবো, বুঝবি এবার ঠেলা।'
ভয়ে ভয়ে ভাবছি,' কি অদ্ভুত;
ভুত তাড়ানোর সরষেদানাও ভুত!'
দুচোখ বুঁজে দিলাম ভুমা দৌড়;
ঘরে যখন ফিরি তখন ভোর।
রচনাকাল: ঢাকা, ০২ জুন ২০২৪।