দুহাজার চব্বিশ সালের ত্রিশ জুন;
বিশেষ কোনো দিন ছিলো না।
জুনের প্রচণ্ড দাবদাহ ছিলো না সেদিন;
এক আধটু ঝড়োহাওয়া আর বৃষ্টির মিশেলে হাঁসফাঁস করা ভ্যাপসা গরম ছিলো।

স্বাভাবিক অথবা তড়িৎ গতিতে হেঁটে কিংবা গাড়িতে করে যার যার গন্তব্যে ছুটেছেন সবাই;
দিব্যি অফিস করেছেন।
থেমে থাকেনি বাজারঘাট রান্নাবান্না অথবা  খাওয়াদাওয়া;
ব্যবসাবানিজ্যও ঠিকঠাক চলেছে।
জুলাই টু জুন অর্থবছরের শেষদিনে কর্তাব্যক্তিরা জুন ফাইনাল নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন;
হিসেব মিলাতে চেয়েছেন সবাই।

পৃথিবীর এক প্রান্তে নির্জনে চোখ বুঁজে এই ত্রিশ জুনে;
গত বছরের বা তার আগের বছরেগুলোর ত্রিশ জুনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন এক বৃদ্ধ কবি।

কোনো এক ত্রিশ জুনে তাঁর জন্মদিনের কথা ভেবে;
প্রচণ্ড গরমে অথবা উন্মাদনায় হাডসনের নীল জলে শরীর ভিজিয়েছিলেন পৃথিবীর অন্য প্রান্তে থাকা এক নারী।
ত্রিশ জুনের রাতে নৈঃশব্দের গান শুনেছেন সেই নারী;
দিগন্ত জোড়া গহীন অরণ্যে ভেসে আসা সিম্ফনী তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
সেই নারীর কল্পনায় বৃদ্ধের দৃষ্টি আকাশ ছুঁয়েছে;
বৃদ্ধের বুক ছুঁয়ে গেছে তাঁর নিঃশ্বাস।

সেই যুবানারী কবিতা লিখেছিলেন সেই অনূভুতি নিয়ে;
বৃদ্ধ কবিকে সেদিনই জানিয়েছিলেন প্রচন্ড আবেগে।
কবিকেও সেদিন প্রণয়কাতরতা পেয়ে বসেছিলো;
উচ্ছ্বসিত হয়ে বারবার কেঁপে উঠেছিলো তাঁর দেহমন।

এবারের এই ত্রিশ জুন অনেকটা নিঃশব্দেই ঘড়ির কাঁটা ধরে হারিয়ে গেলো কালের ব্ল্যাকহোলে;
বৃদ্ধকে তাড়িয়ে বেড়ালো নিকট অতীতের ত্রিশ জুনগুলো।
বৃদ্ধ কবি ছুটে চলেছেন শেষ বেলাভূমির দিকে;  
তাঁর সাথে স্মৃতিগুলোও ছুটে চলেছে একই পথে অলিগলি বেয়ে।

রচনাকাল: ঢাকা, ৩ জুলাই ২০২৪।