প্রেমহীন দুটো মানুষ একসাথে থাকতে পারে সারাদিন;
সংসারের নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে পারে একযোগে।
কেউ একজন অসুস্থ হলে অন্যজন সেবাযত্ন করতে পারে;
রাত জেগে মাথায় শরীরে স্পঞ্জ করে দিতে পারে প্রচণ্ড জ্বরে।

প্রেমহীন দুটো মানুষ বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতে পারে;
পরস্পরকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখাতে পারে সম্পর্কের গভীরতা।
পার্কে হাঁটতে হাঁটতে খুঁনসূটি করতে পারে;
পুরুষ সঙ্গীটি নারীর খোঁপায় গুজে দিতে পারে লাল গোলাপ।

প্রেমহীন দুটো মানুষ সমুদ্রের সৈকতে ঘুরতে যেতে পারে;
স্বল্পবসনা হয়ে একসাথে করতে পারে সূর্যস্নান।
কোমর পানিতে নেমে দুজনের কোমর জড়িয়ে ধরতে পারে দুজনেই;
ডুবসাঁতারে মৈথুনে মেতে উঠতে পারে নির্জনে।

পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে সারারাত শুয়ে থাকতে পারে;
খাট কাঁপাতে পারে শরীর বাঁকিয়ে।
প্রেমহীন দুটো মানুষ একজন আরেকজনকে ভোগ করতে পারে নির্দ্বিধায়;
সন্তান জন্ম দিতে পারে ঘটা করে।

প্রেমহীন দুটো মানুষ বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে পারে;
রুটিন করে লিস্টি বানিয়ে করতে পারে বাজারঘাট।
উৎসবে পার্বণে দেখা করতে পারে স্বজনদের সাথে;
সুখী পরিবারের আদর্শ হতে পারে সবার চোখে।

প্রেমহীন দুটো মানুষ পরস্পরকে বিশ্বাস করতে পারে;
চোখ এড়িয়ে সঙ্গিনী বন্ধুর বিছানায় যেতে পারে।
সখ করে পুরুষ সঙ্গীটি কিচেনে ঢুকে রান্না করতে পারে;
কাজের বুয়ার জামার নীচে হাত দিতে পারে সুযোগ বুঝে।

প্রেমহীন দুটো মানুষ দুজনের সাথে মানিয়ে নিতে পারে আজীবন;
দুজনের সাফল্য আর ব্যর্থতার ভাগীদার হতে পারে দুজনেই।
তবুও একান্তে নিভৃতে আলাদা মানুষ হয়ে যায় প্রেমহীন দুটো মানুষ;
ভালোবাসার সুগন্ধি না পাওয়ার অন্তর্জ্বালায় জ্বলতে থাকে আমৃত্যু।

রচনাকাল: ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০২৪।