তোমার-আমার সম্পর্কটা এখন 'হাই' আর 'হ্যালো'তেই বন্দী;
যদি বলি, 'হাই', 'হ্যালো কবি' বলে উঠো তুমি।
আমাদের এই 'হাই' আর 'হ্যালো' জানান দেয়;
আমরা দুজনেই এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছি।
আমি কর্মহীন অবসরে কফিশপে বসি;
তুমি নাচের ক্লাসে মুদ্রা শেখাও।
অথবা আমি একান্তে নীল ছবি দেখি;
তুমি বাহুলগ্না অন্য কোনো পুরুষের।
আমার দুচোখে ভেসে আসে এক বৃদ্ধ আর এক যুবা নারী;
দুজনেই হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে দ্রুত, গন্তব্যবিহীন।
কেউই জানে না তাদের পরিচয়;
তারা নিজেরাও চেনে না একে অপরকে।
তবুও এক অদৃশ্য আবেগ বাসা বেঁধে আছে;
দুজনেরই মনের গভীরে।
ছুটে চলা আর ছুটে চলা;
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
এখন আমাকে নিয়ে তুমি কি ভাবো তা আমার জানা নেই;
'হাই' বললেই 'হ্যালো' বলো তুমি।
আমার 'তুমি' সম্বোধন আগের মতোই আছে;
তুমি পুরোনো 'আপনি'তেই ফিরে গেছো।
তোমার অনেক অনুযোগ আছে;
অবিশ্বাস আর অভিযোগও আছে।
আমার আছে দীর্ঘশ্বাস;
নীল সমুদ্রের অথই নোনাজল।
আগের সে দিন এখন আর নেই;
রাতও নেই আগের মতোন।
অন্য কোনো পুরুষ হয়তো তোমার ভাবনায়;
ব্যস্ততায় দিন কাটে রাত কাটে তাকে নিয়েই।
আমিও হয়তো অন্য কোনো নারীকে নিয়ে ভাবি;
তার সাথেই সময় কাটাই।
তুমিও জানো না, আমিও জানি না;
মেলবন্ধনে শুধু 'হাই' আর 'হ্যালো'।
দূরের আকাশে হাসে পূর্ণিমার চাঁদ;
দৃষ্টির আড়ালে নাচে কি খঞ্জনা পাখি!
রচনাকাল: ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪।