চড়ুই পাখি ফুরুৎ ফুরুৎ, বাড়িতে ঘর গড়িস্ যার;
রাজপথে জয় ধ্বনি তুলে আজো পায়ে পড়িস্ কার?
দস্যুরানীর ত্যাগের বানী, সোনার মোহর পার করে;
কার ঘরে আজ বসত করে কোন্ পড়শীর পাও ধরে!
দেশ বিকিয়ে নিজের গদি ঠিক রেখে যে চলতো রোজ;
জনগণের টাকা লুটে চামচা নিয়ে করতো ভোজ।
ভিন্ দেশেতে দেশের টাকা পাচারকারী চাটার দল;
উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বাঁকা পথেই হাঁটার ছল!
ঋণ করে ঘি খেয়ে খেয়ে শরীরটাকে রাখতো ফিট;
শ্বেতপাথরের রাজপ্রাসাদে থাকতো সুখে 'বিশ্ব-চিট'।
নুন আনতে পান্তা ফুরায়, আমজনতা হারায় হুঁশ;
ঋণের টাকা শুধবে জাতির ভবিষ্যতের তিন পুরুষ!
ন্যায্য দাবি মানতে নারাজ, চোরের মায়ের হু-হুঙ্কার;
ভাঙা গলায় ভাঙা রেকর্ড, অন্ধ অহম অহঙ্কার।মানুষখেকোর রক্ত পিয়াস বদলে দিলো সব কিছু;
ভাগ্ গিয়া তো ভাগ্ গিয়া তো, 'হুক্কা হুয়া' স্বর নীচু!
এক যাবে তো আসবে আর এক, কেউ ফিরবে বীর-বেশে;
বারেবারে রক্তচোষা বসবে পদে এই দেশে।
থাকতে তোরা ওদের কি ভয়, জগৎশেঠ আর মীর জাফর;
বাংলাদেশেই ঢাকার বুকে ঘসেটিদের তাসের ঘর!
রচনাকাল: ঢাকা, ১৫ আগস্ট ২০২৪।