এবার পহেলা বৈশাখে লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরেছো তুমি;
সোনালী ফুলের কাজ করা সমান্তরাল দুটো হলুদ রেখা শাড়ির পাড়ে।
লাউগাছের লতানো ডগার মতো বামদিক থেকে বুক ছুঁয়ে ডানদিকে উঠে গেছে শাড়ি;
'বিউটি বোন ঢেকে রাখা গলা'র লাল ব্লাউজ গায়ে।
কানে রূপালী ঝুমকা;
গলায় রূপালী 'মিরর চোকার'।

দুই ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক;
জোড়া-ভুরুর মাঝখানে বড়োসড়ো লাল টিপ।
দুদিক থেকেই দুই গাল ছুঁয়েছে দুই গুচ্ছ বাঁকানো কালো চুল;
অন্যরকম লুক।

বাম হাতের তালুতে সাদা আর লাল রঙের আল্পনা আঁকা;
সামনে মেলে ধরেছো দেখাতেই যেনো!
অপরূপ লাগছে তোমাকে;
সম্পূর্ণ ভিন্ন অবয়ব।

শুধু চোখের দৃষ্টি পড়তে পারিনি আমি;
আশার নাকি হতাশার ছাপ!
মুখ জুড়ে আনন্দ নাকি বিষাদের ছায়া;
বুঝতে পারিনি কোনো কিছুই।

পুরোনো একাকিত্ব নিয়ে পার করলে আরো একটা বছর;
ঠাটা পড়া রোদ্দুরে পুড়লে চৈত্রের শেষ দিনটিতেও।
একা একা আর কতোটা পথ পাড়ি দেবে তুমি;
আসমুদ্রহিমাচলে আর কতো ছুটবে উদ্দেশ্যবিহীন!

সময় কথা রাখে না;
কেউ কথা রাখে না।
স্মৃতি শুধু সাথে সাথে থাকে;
ভুলে যেতে চাইলেও বেশি বেশি জেগে উঠে!

রচনাকাল: ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৫।