আগে লেখা হতো কাগজে;
কলমের নিবের ঘষায় বা পেন্সিলে।
ফাউন্টেন পেন কিংবা বলপেনে অথবা পেন্সিলে আঙুল পেঁচিয়ে ধরে;
নানা কসরতে লেখা হতো।
কালো লাল নীলসহ নানান রঙের অক্ষর জানান দিতো;
কবিতা অথবা গল্প উপন্যাস হাজির।
তারপর কাটাছেঁড়া;
আবার লেখা।
এভাবেই চমৎকার যুগান্তকারী গল্প কবিতা উপন্যাস লিখে গেছেন কিয়ংবদন্তী কবিগণ, লেখকগণ।
বর্তমানে ল্যাপটপ ডেক্সটপ পিসি বা ফোন সেটের কীবোর্ডে হাতের আঙুলের চাপেই লেখা হয় বেশি;
নানা আকৃতির অক্ষর ভেসে উঠে মনিটরে।
লেখা বা এডিট করা অনেক সহজ এখন।
কিন্তু কঠিন হয়ে গেছে কবিতা বা গল্পের বিষয়বস্তুর মান নির্ধারণ;
রুচি অরুচির অলিখিত সংজ্ঞা এখন থোরাই কেয়ার!
লেখিয়েরা লিখে যায়;
পড়ুয়ারা পড়ে।
শ্লীল কি অশ্লীল তা দেখার যেনো কেউ নেই;
তবে শ্লীলতাহানির সংজ্ঞা আগের মতোই আছে।
সমাজ গিলে খায় সুড়সুড়ি দেওয়াগুলোই;
ইন্টারনেটে ভাইরাল হয় লেখিয়েদের ব্যক্তি জীবনের নানা কাহিনী।
মানুষের রাগ অনুরাগ আর হৃদয়ের আকুলতা হারিয়েই গেছে বলা যায়;
মননশীলতা মানবিকতাও বিলুপ্তির পথে।
চলছে এভাবেই;
ঘরে ঘরে, সমাজের আনাচেকানাচে।
রুচির পরিবর্তন;
নাকি সময়ের চাহিদা!
প্রযুক্তির অভিশাপ;
নাকি বিবর্তনের অধঃপতন !
রচনাকাল: ঢাকা, ৩১ মার্চ ২০২৩।